ইবোলা প্রতিরোধে জরুরি তহবিল আহ্বান জাতিসংঘের

মরণব্যাধি ইবোলা প্রতিরোধে এখনো কাঙ্খিত তহবিল জোগাড় না হওয়ায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে আবারো জরুরি তহবিল আহ্বান করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 12:07 PM
Updated : 17 Oct 2014, 12:20 PM

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে একশ কোটি ডলারের আবেদন জানানো হলেও জাতিসংঘের তহবিলে মাত্র এক লাখ ডলার জমা পড়েছে বলে জানান মুন।

পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে ছড়িয়ে পড়তে থাকা ইবোলা ভাইরাসে মাত্র ৭ মাসে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। লাইবেরিয়া, গিনি, সিয়েরা লিওনে ইবোলা আক্রান্ত হয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

ইবালো ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুহার ব্যাপক। ইতোমধ্যেই আফ্রিকার গণ্ডি ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রগুলোতে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ইবোলার চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকও মারা যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে।

ইবোলা মানুষের বর্জ্যবাহিত একটি ভাইরাস যা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শেও সংক্রমিত হচ্ছে। স্বীকৃত কোনো ওষুধ না থাকায় রোগটিতে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

দাতাদেশগুলো জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও স্বতন্ত্র দাতাগোষ্ঠীর কাছে ৪০ কোটি ডলার জমা দিয়েছে। তবে জাতিসংঘ তহবিলে মাত্র দুই কোটি ডলারের আশ্বাস পাওয়া গেছে।

ইবোলা প্রতিরোধে জাতিসংঘ তহবিলে অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে কেবল মাত্র কলম্বিয়া। তহবিলে এক লাখ ডলার দিয়েছে দেশটি।

বান কি মুন বলেন, ইবোলা প্রতিরোধে সামর্থ্যবান দেশগুলোর এগিয়ে আসার এখনই সময়।

ইবোলা প্রতিরোধী পদক্ষেপে অর্থনৈতিকভাবে সাড়া দেয়ার আহ্বান এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের পক্ষ থেকেও।

ইবোলা বিরোধী পদক্ষেপে বিশ্বনেতাদের সাড়ায় হাতাশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান।

“পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চলে ইবোলার মতো ভাইরাস দেখা দিলে সম্ভবত এর বিরুদ্ধে ভিন্নভাবে পদক্ষেপ নেয়া হত,” বলেন আনান।