বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থানরত ওয়াং হংকংয়ের ঘটনাকে চীনের “অভ্যন্তরীণ বিষয়” বলে উল্লেখ করেছেন।
ওয়াং হলেন চীনের সর্বজ্যেষ্ঠ নেতা যিনি প্রথমবারের মতো হংকংয়ের ঘটনা নিয়ে খোলাখুলি কথা বললেন।
“হংকংয়ে যা ঘটছে তা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চীনের স্বার্বভৌমত্বের প্রতি সব দেশের শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। কোনো দেশের, কোনো সমাজের জন্য, কেউ আইন-শৃঙ্খলা অমান্যকারী এ ধরনের অবৈধ কার্যকলাপকে অনুমোদন করবে না,” বলেন তিনি।
তবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন হংকং কর্তৃপক্ষের “আইনানুযায়ী চলতি পরিস্থিতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা আছে”।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি হংকং কর্তৃপক্ষকে ধৈর্য্যের সঙ্গে প্রতিবাদ মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১৭ সালে হংকংয়ের পরবর্তী নেতা নির্বাচনে চীনের প্রার্থী বাছাই পরিকল্পনায় হংকংয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ক্ষুব্ধতার সূত্র ধরে তারা হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী সি লেয়ুঙ এর পদত্যাগ দাবি করেছেন।
লেয়ুঙ পদত্যাগ না করলে প্রতিবাদ তীব্র করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
লেয়ুঙয়ের পদত্যাগের জন্য বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা। ওই সময়ের মধ্যে প্রধান নির্বাহী পদত্যাগ না করলে সরকারি দপ্তরগুলো দখল করে নেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাতে প্রায় ৩ হাজার আন্দোলনকারী লেয়ুঙয়ের দপ্তরের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত প্রায় ২শ’ পুলিশের মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
নিরাপত্তা রক্ষায় হংকংয়ের সরকারি দপ্তরগুলোর বাইরে প্রচুর পুলিশ অবস্থান নিয়ে আছেন।
অবাধ নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার থেকে এশীয় অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হংকংয়ের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে দিনরাত অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থী ও অকুপাই সেন্ট্রাল আন্দোলনের গণতন্ত্রীপন্থী কর্মীরা।