সম্প্রতি ইরাকের সাগলাওয়াহ প্রদেশে এমন ঘটনা কিংকর্তব্যবিমূঢ় করেছে বাগাদাদের সেনাদের।
যুক্তরাজ্যের `দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট' পত্রিকার খবরে বলা হয়, ঘটনাটির পেছনে অশুভ কোনো পরিকল্পনা কাজ করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইরাক সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিসি নিউজকে বলেন, “পশ্চিমাঞ্চলীয় সাগলাওয়া প্রদেশে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইরাকি সেনাদের জন্য খাদ্য, পানীয় ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল সেনাবাহিনীর একটি বিমান। কিন্ত বিমানের চালক ভুল করে তা আইএস জঙ্গিদের একটি ঘাঁটিতেই ফেলে আসেন।”
গত জুনে ইরাকের মসুল থেকে শুরু হওয়া আইএস জঙ্গিদের দখল অভিযান রাষ্ট্রটিকে নিশ্চিহ্নের পথে নিয়ে গেছে। ইরাক, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশের দখল নিয়ে ভিন্ন ধারার ‘ইসলামি খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে আল কায়েদা থেকে বেরিয়ে আসা ইসলামি চরমপন্থিরা।
আইএস'র অগ্রযাত্রায় ভীত হয়ে বিভিন্ন সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে বাগদাদে আশ্রয় নেয় ইরাকি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্য ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ বিমান হামলা চালিয়ে আইএসকে দমন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরাকের সেনাবাহিনীর ওই ব্রিগেডিয়ার জানান, “ইরাকি বিমান বাহিনীর কিছু নবীন সদস্য খুবই অনভিজ্ঞ। তারা বয়সে যেমন তরুণ, সামরিক বাহিনীতেও নতুন।”
সামরিক বাহিনীর সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্য হাকিম আল জামিলি বলেন, একটি এলাকায় প্রায় সপ্তাহকাল ধরে লড়াইরত কিছু সেনা সদস্য রসদ সঙ্কটে পড়েছিল। কিছু পাইলট ওই রসদগুলো তাদের কাছে পৌঁছাতে গিয়ে শত্রুদের হাতে দিয়ে এসেছে।”
এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান জামিলি।