১ অক্টোবর, বুধবার সকালে জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হংকংয়ের প্রধান নির্বাহি সি লেয়ুঙ।
১৯৪৯ সালে এই দিনটিতেই কমিউনিস্ট চীনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ দিন হংকংসহ পুরো চীনে সরকারি ছুটি থাকে।
পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানটি চলার সময় শান্তি বজায় ছিল। ছাত্র বিক্ষোভকারীরা এ সময় শান্ত হয়ে ছিল। তবে দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় আতশবাজি প্রদর্শনীর কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে।
অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে হংকংয়ের পরবর্তী নেতা নির্বাচন করতে চায় গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু বেইজিং সরকার চায় তাদের অনুমোদিত প্রার্থীদের মধ্য থেকেই নেতা নির্বাচন করুক হংকংবাসীরা।
১৯৯৮ সালে সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকং চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারপর থেকে চীনের অধীনে ‘এক দেশে দুই পদ্ধতি’ নীতিতে হংকংয়ের প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে।
কিন্তু ২০১৭ সালের পরবর্তী নির্বাচনে যে কোনো নাগরিককে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেয়ার দাবি করছে গণতন্ত্রপন্থীরা।
এ দাবিতে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শুক্রবার থেকে গণবিক্ষোভের রূপ নেয়।
গত পাঁচদিন ধরে হংকং শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা।
বর্তমান নেতা লেয়ুঙ বিক্ষোভকারীদের রাস্তা ছেড়ে বাড়িতে ফেরার অনুরোধ করলেও কাজ হয়নি, রাস্তা ছাড়েনি বিক্ষোভকারীরা।
মঙ্গলবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হংকং বেইজিংয়ের প্রভাবে থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন। বেইজিংয়ে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, “হংকং ও ম্যাকাওয়ের স্থিতিশীলতা ও ধারাবাহিক সমৃদ্ধি রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর।”