সোমবার ১৯৮১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের একটি আদেশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
গত বছর ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি এনএসএ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান, বহুজাতিক কোম্পানি, এমনকি সন্দেহ হলে অতি সাধারণ ব্যক্তির ইমেইল, ফেইসবুক, ট্যুইটার, ইউটিউবসহ অন্যান্য ইন্টারনেট যোগাযোগ মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে বলে তথ্য ফাঁস করেন ওই সংস্থার কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন। তথ্য ফাঁস করে প্রথমে হংকং পরে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন স্নোডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্রদেশ জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলসহ অন্যান্য ব্যক্তিরাও নজরদারি থেকে বাদ পড়েননি। এ নিয়ে জার্মান যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ ম্রিয়মাণ হতে দেখা যায়।
‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন’ (এসিএলইউ) জানায়, এনএসএ ১২৩৩৩ নম্বর নির্বাহী আদেশের বলে নজরদারি চালিয়েছে।
গত বছর নজরদারিকাণ্ড নিয়ে একটি অভিযোগ দখিলের পর নির্দেশনা সংক্রান্ত নথি পায় এসিএলইউ।
১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান ওই আদেশে স্বাক্ষর করেন। এতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজরদারি চালাতে কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দেয়া হয়।
এসিএলইউর আইন কর্মকর্তা এলক্স এবডো সোমবার একটি ব্লগপোস্টে লিখেন, নির্বাহী আদেশের ওই নথি দেখতে পাওয়া যায়।
তবে এ বিষয়ে এনএসএ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে মামলা করে আমেরিকান লিবার্টি ইউনিয়ন। এবডো বলেন, নথিপত্র দেখে মনে হচ্ছে, সরকার কেবলমাত্র সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা সংক্রান্ত বিষয়গুলোই নজরদারির মূল লক্ষ্য।