ইবোলা: দুর্দশায় হাজারো এতিম শিশু

ইবোলার ভয়ঙ্কর থাবায় গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে বাবা, মা কিংবা দুজনকেই হারানো অন্তত ৩৭০০ শিশু চরম দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2014, 05:26 PM
Updated : 30 Sept 2014, 05:26 PM

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আশঙ্কা এসব শিশু সামাজিকভাবে পরিত্যক্ত হতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে এই সব শিশুদের দেখভালের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি।

ইউনিসেফের কর্মকর্তা ম্যানুয়েল ফনটেইন পশ্চিম আফ্রিকা ঘুরে এসে বলেন, “হাজার হাজার শিশুর বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যরা ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।”

“এই সব শিশুদের দেখভালের জন্য দ্রুত বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নতুবা তারা অনেকেই অনাকাঙ্খিত এমনকি পরিত্যক্ত হতে পারে।”

‘দ্য ওয়ার্ল্ড হেল্থ অরগানাইজেশন’ (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

দুই সপ্তাহ ধরে ইউনিসেফ গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে (এই তিনটি দেশে ইবোলা সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে) অনুসন্ধান অভিযান চালিয়ে ইবোলায় এতিম হয়ে যাওয়া শিশুদের এই সংখ্যা অনুমান করেছে।

এতিম হয়ে যাওয়া এই সব শিশুদের বেশির ভাগের বয়স তিন থেকে চার বছরের মধ্যে।
এই সব শিশুদের হাসপাতালে যেখানে তাদের পিতা-মাতার মৃত্যু হয়েছে সেখানে পাওয়া গেছে।

কেউ কেউ তাদের এলাকায় ফিরে গেছে। সৌভাগ্যবান কয়েকটি শিশু হয়ত তাদের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খাবার পেয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ শিশুকেই তাদের প্রতিবেশীরা তাড়িয়ে দিয়েছে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে ইবোলার কারণে এতিম হয়ে যাওয়া শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে এবং অক্টোবরের মাঝামাঝিতে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।

এসব শিশুদের খুঁজে বের করে তাদের দেখাশুনার বিশেষ ব্যবস্থা করা জরুরি। এ বিষয়ে আলোচানার জন্য আগামী মাসে সিয়েরা লিওনে বৈঠকে বসবে ইউনিসেফ। তবে তার আগেই একটি নির্ভরযোগ্য দেখভালের ব্যবস্থা শুরু হবে বলে তারা আশা করছে।

ফনটেইন বলেন, “ইবোলার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষ এখন মনে করে একটি অসুস্থ শিশুকে সান্ত্বনা দেয়া মানে সম্ভাব্য মৃত্যুকে আহ্বান করা।”

“স্বাভাবিকভাবেই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে আমরা এই ভাবে আচরণ করতে পারি না। আমাদের আরো সহসী হওয়া প্রয়োজন। আমাদের আরো সৃষ্টিশীল এবং আরো অনেক অনেক অনেক বেশি সম্পদ প্রয়োজন।”