সোমবার রাতে প্রায় লাখ খানেক বিক্ষোভকারী হংকং শহরের রাস্তাগুলোতে অবস্থান নিয়ে গানে-স্লোগানে আন্দোলন জমিয়ে তোলে। এতে শহরের একটি অংশ অচল হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে হংকংয়ের পরবর্তী নেতা নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন প্রতিবাদকারীরা। কিন্তু বেইজিং চায় তাদের অনুমোদিত প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচন সীমাবদ্ধ রাখতে।
২০১৭ সালে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানে কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রতিবাদকারীদের অবস্থান নেয়া রাস্তাগুলো শান্ত থাকলেও পহেলা অক্টোবর চীনের জাতীয় দিবস হওয়ায় সন্ধ্যা নাগাদ জনসমাগম বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্র-শনিবার দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের দমাতে সে সময় কাঁদুনে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করেছিল পুলিশ। পরে দাঙ্গা পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক এই শক্তি কেন্দ্রটির প্রধান অংশ বিক্ষোভাকারীরা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ওই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোও বন্ধ রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা প্রধান নির্বাহী লেয়ুঙয়ের পদত্যাগ দাবি করছে। কিন্তু এ ধরনের পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরো ঘোলা হবে বলে সতর্ক করে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন লেয়ুঙ।
তিনি বলেছেন, “অবাধ ভোটাধিকার অর্জনের আগে কোনো ব্যক্তির পরিবর্তন পরবর্তী নেতা নির্বাচনের জন্য হংকংকে ইলেকশন কমিশন মডেলের অধীনস্ত করে তুলবে।”
ছাত্র, অকুপাই সেন্ট্রাল আন্দোলনের সমর্থক ও অন্যান্যদের নিয়ে গড়া মিশ্র আন্দোলনকারীদের বাড়ি ফিরে যাওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বলেছেন, “অকুপাই সেন্ট্রালের প্রতিষ্ঠাতারা বারবার বলেছেন, আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে তারা এটি বন্ধ করার নির্দেশ দেবেন। তারা সমাজের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমি তাদের এখন তা পূরণ করতে বলছি, এখনি এই আন্দোলন বন্ধ করুন।”
অপরদিকে সর্বশেষ বিবৃতিতে অকুপাই সেন্ট্রাল সরকার “ধীরে চলো” নীতি নিয়ে এগোচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে।
“সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের সত্যিকারের অবাধ ভোটাধিকারের দাবিটি আবেদন হারাবে” এই আশায় সরকার দিন গুণছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই আন্দোলনকারীরা।