বর্তমানে রাজধানী বাগদাদে অবস্থান করা বিবিসি’র প্রতিনিধি লিস ডউকেট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা ইরাকের স্থলবাহিনীকে আইএস এর বিরুদ্ধে বাগদাদের উপকণ্ঠে এই জয় পেতে সাহায্য করেছে।
আমারিয়া আল-ফাল্লুজা শহরটি বাগদাদ থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমারিয়াত আল-ফাল্লুজা বর্তমানে শান্ত রয়েছে। তবে ফাল্লুজা হয়ে উত্তর দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কটিতে এখনো অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এই সড়কটি এখনো আইএস এর নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন ডউকেট।
এর আগে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অকপটে স্বীকার করেন যে, শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র আইএস এর উত্থানের হুমকিকে ‘গুরুত্বহীন’ মনে করেছিল।
ইরাকের চলমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমেই এই জঙ্গিদের নির্মূল সম্ভব বলে ওবামা মনে করেন। যার একটি হতে পারে সুন্নি ও শিয়া মুসলিমদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান।
ওদিকে পেন্টাগন জানিয়েছে, বাগদাদ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে আনবার প্রদেশে আইএস এর কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোববার রাক্কার কাছে আরো চারটি তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইএস। ওই চারটি স্থানেও বিমান হামলার পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাক্কায় আইএস এর শক্ত অবস্থান রয়েছে।
পেন্টাগনের দাবি যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত সিরিয়ার যেসব স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে তার সবগুলোই সফল হয়েছে।
যদিও যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ‘সিরিয়ান অবজারভেটোরি ফর হিউম্যান রাইটস’ (এসওএইচআর) জানিয়েছে, এ সব হামলায় বেসামরিক মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরিয়ার আলেপ্পো, রাক্কা, হাসসাকেহ ও দির আল-জুর প্রদেশে রাতভর বিমান হামলা চালানো হয়। এছাড়া, দেশটির সবচেয় বড় গ্যাস ক্ষেত্রেও হামলা চালানো হয়েছে।
এসওএইচআর প্রধান রামি আবদুল রহমান বলেন, “আলেপ্পোর মানবিজ শহরে হামলায় শুধুমাত্র বেসামরিক মানুষই প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে কোনো জঙ্গি মারা যায়নি।”
“নিহতরা শস্য জমা করার গুদামের কর্মী ছিল। তারা মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ করত।”
তবে সেখানে ঠিক কতজন মারা গেছেন সেটা সঠিক ভাবে বলা বেশ কঠিন বলে জানান রামি।