সোমবার রাজধানী কাবুলে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি।
এরমধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে চলা দেশটির রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটল।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই দেশটির জনগণের প্রতি নতুন সরকারকে সমর্থন ও সহযোগিতার আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কাবুলে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আফগানিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হল।
অনুষ্ঠানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহসহ আফগানিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের শতাধিক রাজনীতিবিদ ও কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
গনির এই শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আফগানিস্তানে হামিদ কারজাইয়ের যুগের অবসান হল।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র তালেবান গোষ্ঠীকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে আফগানিস্তান দখলের পর থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন কারজাই।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরবর্তী ফলাফল বিতর্কে ছয় মাস রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলার পর এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গনিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আবদুল্লাহ। দুই পর্বে অনুষ্ঠিত ওই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে ছিলেন আবদুল্লাহ।
দ্বিতীয় পর্বের ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে জয়ী হন আশ্রাফ গনি। কিন্তু ফলাফল না মেনে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন আবদুল্লাহ। এতে আফগানিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে রাজনৈতিক জটিলতা তৈরি হয়।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির উদ্যোগে ভোট পুনর্গণনা করা হলেও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির আশঙ্কায় আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি ঐক্যমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা হয়।
ওই সমঝোতার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন গনি। অপরদিকে গনির নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন আবদুল্লাহ।
এই সমঝোতা চুক্তিকে “যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো নাটক” বলে অভিহিত করেছে তালেবান।
তবে “প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তনের” প্রশংসা করে একে “বিশাল বিজয়” বলে চিহ্নিত করেছেন নয়া প্রেসিডেন্ট গনি।