হংকংয়ের বিক্ষোভে টিয়ার গ্যাস, সংঘর্ষ

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলন কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোঁড়ার পাশাপাশি লাঠি পেটা করেছে পুলিশ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2014, 03:02 PM
Updated : 28 Sept 2014, 03:02 PM

২০০৫ সালের পর এই প্রথম কোনো বিক্ষোভ দমাতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করলো হংকং পুলিশ। সেবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড অরগানাইজেশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষকরা।

চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে ২০১৭ সালে পুরোপুরি গণতান্ত্রিক একটি নির্বাচনের দাবি কর্তৃপক্ষ নাকচ করে দিলে চলতি মাসের শুরুতে এ বিক্ষোভের পট প্রস্তুত হয়।

রোববার আন্দোলনকর্মীরা হংকংয়ের নৌবাহিনীর অধিদপ্তরের সামনের রাস্তায় জড় হয়। তারা পুলিশের বাধা ভেঙ্গে অধিদপ্তরে ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশ প্রথমে তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে।

এরপর হেলমেট ও গ্যাস মুখোশ পরা পুলিশ সদস্যরা বাতাসে পেপার স্প্রে ও টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে। এ সময় আন্দোলনকারীরা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়ে এবং ছাতা খুলে নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করে। তারা পুলিশকে ‘কাপুরুষ’ বলে গালি দেয়।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গণতন্ত্রপন্থী ছাত্ররা হংকংয়ের কেন্দ্রিয় এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সরকারি দপ্তরগুলো তছনছ করে। রাতভর ব্যাপক হাঙ্গামা চলার পর শনিবার দিনের শুরুতে আন্দোলনাকারী ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পেপার স্প্রে ব্যবহার করে।

এতে ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হলে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এ সময় অন্তত ৬০ জন ছাত্র আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের এই গণগ্রেপ্তারের জের ধরে আন্দোলনের সমর্থনে হাজার হাজার হংকংবাসী ও গণতন্ত্রপন্থি ‘অকুপাই সেন্ট্রাল’ আন্দোলনের কর্মীরা শনিবার রাস্তায় নেমে এসে অবস্থান নেয়।

এরপর রোববার ভোরের দিকে আকস্মিকভাবে অসহযোগের ডাক দেন হংকংয়ের ‘অকুপাই সেন্ট্রাল’ আন্দোলনের নেতা বেনি টাই।

আন্দোলনকারীরা এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্য নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় জড় হয় এবং সেগুলো অবরোধ করে রাখে। তারা হংকংয়ের বিখ্যাত প্যাসিফিক প্লেস শপিং মলের সামনের রাস্তাও অবরোধ করে।

পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে নৌবাহিনীর অধিদপ্তরের কয়েকটি রাস্তা খালি করেছে এবং নগরীর কেন্দ্রস্থলের দিকে তাদের সরে যেতে বাধ্য করেছে।

রোববারের ঘটনায় ঠিক কতজন আহত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে পিটার পং নামের একজন আন্দোলনকর্মী বলেন. “আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা কখনোই এ আন্দোলন ছেড়ে যাব না।”

তবে রোববার রাতে তারা আপাতত পিছু হটতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ।

ওদিকে, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে ‘অটল’ থাকবেন বলে জানিয়েছেন হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান লিউং চুং-ইং।

পুলিশের অভিযানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি বলেন, “আইনের আওতায় থেকেই পুলিশ বর্তমান পরিস্থিতি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনবে।”