বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার গনিকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন আফগান স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের প্রধান আহমেদ ইউসুফ নুরিস্তানি।
“স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আশরাফ গনির নাম ঘোষণা করছে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘোষণা করা হল।” তবে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা প্রকাশ করেননি তিনি।
গত জুনে আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলে আশরাফ গনিকে জয়ী ঘোষণা করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ। এপ্রিলে প্রথম দফার নির্বাচনে এগিয়ে ছিলেন তিনি।
নির্বাচনের ফল নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে প্রায় তিন মাসের অচলাবস্থার পর শনিবার রাতে কাবুলে ক্ষমতার ভাগাভাগির সরকার গঠন করতে একটি ঐক্য চুক্তি করেন আশরাফ গনি ও আব্দুল্লা আব্দুল্লাহ।
চুক্তির আওতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আশরাফ গনিকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা দিয়ে একজন সিইও মনোনয়ন করেন আবদুল্লাহ।
নির্বাচনের ফল নিয়ে অচলাবস্থা শুরুর পর তা নিরসনে একাধিকবার কাবুল সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। পরাজিত প্রার্থী আব্দুল্লাহ ও তার সমর্থকরা পৃথক সরকার গঠনের ঘোষণা দিলে উভয় পক্ষকে সতর্ক করেন তিনি।
শনিবার রাতে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঐক্যচুক্তি সই করেন গনি এবং আবদুল্লাহ। এরপর দুইজনই উঠে দাঁড়িয়ে কোলাকুলি করেন।
এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই দুইজনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এ চুক্তি দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। আফগান জাতির পক্ষ থেকে আমি তাদেরকে এ সমঝোতা এবং চুক্তির জন্য সাধুবাদ জানাই”।