আফগানিস্তান থেকে বেশিরভাগ বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গত এপ্রিল ও জুনে অনুষ্ঠিত ওই বিতর্কিত নির্বাচন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে এ অচলাবস্থার অবসান ঘটল।
শনিবার রাতে সই হওয়া ওই চুক্তির আওতায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর প্রধান প্রতিপক্ষ এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আশরাফ গনিকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হবে। অন্যদিকে, আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা দিয়ে একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীত করবেন।
তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল এখনো প্রকাশের অপেক্ষায়। নির্বাচনের পর দুই প্রার্থীই ভোট গ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন।
গনি এবং আবদুল্লাহ রাজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঐক্য চুক্তিটি সই করেন। এরপর দুইজনই উঠে দাঁড়িয়ে কোলাকুলি করেন।
এ সময় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই দুইজনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “এ চুক্তি দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। আফগান জাতির পক্ষ থেকে আমি তাদেরকে এ সমঝোতা এবং চুক্তির জন্য সাধুবাদ জানাই”।
আফগানিস্তানে ঐক্য ফেরানোর গুরুত্বপূর্ণ এক সুযোগ হিসাবে এ চুক্তিকে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।