বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেয়াথের ওই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ক্ষমাও চান তিনি।
গত সোমবার থাইল্যান্ডের কোহ তাও সমুদ্র সৈকতে ২৩ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ নারী ও তার ২৪ বছর বয়সী পুরুষ সঙ্গীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পর্যটন এলাকায় বেড়ানোর সময় দুর্বৃত্তের হামলায় তারা নিহত হন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অপর দুই ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তবে তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার সরকারি কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা (পর্যটক) মনে করেছে আমাদের দেশ (থাইল্যান্ড) খুব সুন্দর ও নিরাপদ। তাই তারা এখানে যা ইচ্ছা করতে পারবে, যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়াতে পারবে। তারা বিকিনি পরেই যেখানে-সেখানে চলে যেতে পারবে।এভাবে বিকিনি পরে কি নিরাপদ থাকতে পারে?”
অপরাধীরা সনাক্ত না হলেও ঘটনা নিয়ে সরকার প্রধানের এমন মন্তব্যে চটেছে স্বয়ং থাইল্যান্ডের ব্রিটিশ দূতাবাস। ওই মন্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।
পরে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া প্রেয়াথ চান-ওচা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “মানুষের মনে আঘাত দেয়ার জন্য আমি দুঃখিত”।
গত মে মাসে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াতকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনা প্রধান প্রেয়াথ চান-ওচা। গত মাসে নিজেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন তিনি।