অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান

ইসলামিক স্টেট’র (আইএস) এক জ্যেষ্ঠ জঙ্গির ফোনকলের সূত্র ধরে অস্ট্রেলিয়ার দুটি শহরে বড় ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2014, 08:04 AM
Updated : 18 Sept 2014, 08:04 AM

আইএস’র ওই জঙ্গি “হত্যাকাণ্ড প্রদর্শনের” নির্দেশ দিচ্ছিলেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট।

ব্রিসবেন ও সিডনিতে চালানো ওই অভিযানে ব্যাপক অস্ত্রেসজ্জিত অন্ততপক্ষে ৮০০ পুলিশ অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

অভিযানে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এদের একজনের বিরুদ্ধে “গুরুতর সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগ” আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অভিযানটিকে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান বলে দাবি করেছে পুলিশ।

এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অ্যাবোট বলেন, “এক অস্ট্রেলীয়র কাছ থেকে, এখানে, এই দেশে হত্যাকাণ্ড প্রদর্শনের সরাসরি নির্দেশ আসছিল, যাকে সম্পূর্ণভাবে আইএসআইএল’র (আইএস) জ্যেষ্ঠ কোনো একজন বলে মনে হচ্ছিল।”

“তাই এটা কোনো সন্দেহের ব্যাপার নয়, এই পরিকল্পনাই করা হয়েছিল এবং তাই পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।”

প্রকাশিত প্রতিবেদনে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জনতার মধ্য থেকে কোনো একজনকে ধরে তাকে ইসলামিক স্টেট’র পতাকায় মুড়িয়ে তার শিরশ্ছেদ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

২৫টি তল্লাশি পরোয়ানা নিয়ে সিডনির ১২টি এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোররাতে অভিযান শুরু করা হয়।

এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “সিডনিভিত্তিক একটি গোষ্ঠী অস্ট্রেলিয়ায় লোকজনের ওপর বিক্ষিপ্ত হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল।”

ওই তদন্তের সূত্র ধরেই অভিযানটি চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

ব্রিসবেনের অভিযান সিডনির অভিযানের সঙ্গে “সরাসরি সম্পর্কিত” নয় বলে জানানো হয়েছে।

গত সপ্তাহে একটি ইসলামি কেন্দ্রে চালানো অভিযানে দুজনকে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল, ওই সূত্র ধরেই ব্রিসবেনে অভিযান চালানো হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের কথিত জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ও জাবহাত আল নুসরা’র (আল নুসরা ফ্রন্ট) হয়ে অন্ততপক্ষে ৬০ জন অস্ট্রেলীয় নাগরিক সিরিয়ায় ও উত্তর ইরাকে লড়াই করছে বলে ধারণা পুলিশের।

ওই লড়াইয়ে দুজন আত্মঘাতীসহ এ পর্যন্ত ১৫ জন অস্ট্রেলীয় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আরো প্রায় ১০০ জন অস্ট্রেলীয় এসব জঙ্গিগোষ্ঠীকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন দিচ্ছে বলে মনে করেন তারা।