কয়েকটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশের রামাদি, ফাল্লুজা এবং হাদিতায় ভোরের আগে শুরু হয়েছে সামরিক অভিযান।
২০১৩ সালের শেষদিকে সুন্নি আদিবাসীরা এসব এলাকায় বিদ্রোহ করে। ইরাকের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকি তার বাহিনীকে বছরব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমন করতে ওই শহরগুলোতে পাঠান।
এরপর কয়েকমাসের মধ্যেই শিয়া-নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ওই শহরগুলোতে প্রবেশ করে প্রাধান্য বিস্তারকারী শক্তি হয়ে ওঠে আইএস জঙ্গিরা।
প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি গত সপ্তাহে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের সংখ্যা কমাতে ওই শহরগুলোতে ইরাকি বাহিনীর হামলা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বুধবার তিন শহরের প্রত্যন্ত শহরতলীগুলোতে অভিযান শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরাকের সেনাবাহিনীর অষ্টম ডিভিশন রামাদির পশ্চিমে মর্টার, গোলা ও রকেট হামলা চালিয়েছে। সরকার-সংশ্লিষ্ট সুন্নি আদিবাসী যোদ্ধারাও রামাদিতে আইএস এর বিরুদ্ধে লড়ছে।
ফাল্লুজায় চলছে প্রচণ্ড গোলা হামলা এবং শহরের আল-সুজুর এলাকায় ইরাকি বিমান বাহিনী বিমান হামলা চালাচ্ছে। এতে নিহত হয়েছে ১২ জন।
ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা বুধবার হাদিথার ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে বারওয়ানা আবাসিক এলাকার দখল নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি নিরাপত্তা সূত্র। ফাল্লুজা এবং রামাদিতে না হলেও হাদিথার অনেকটা অংশ এখনো ইরাকি সেনাবাহিনীর দখলে।