এ সফরের সম্পর্কে ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় এক কলামে শি লেখেন, “এশিয়ায় অর্থনীতির বড় দুই শক্তি হিসেবে এ অঞ্চলের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য আমাদেরকে সহযোগী হিসেবে কাজ করতে হবে।
‘চায়না ড্রাগন’ ও ‘ভারতীয় হাতি’ উভয়ই এই অঞ্চলের শান্তি রক্ষার জন্য কাজ করছে। তাদের মধ্যে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে নাটকীয় এবং প্রতিশ্রুতিশীল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান বলেও কলামে লেখেন শি।
বুধবার বিকালে বেইজিং থেকে সরাসরি গুজরাটের বাণিজ্যিক শহর আহমেদাবাদে পৌঁছান শি। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নয়াদিল্লিতে চীনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, এ সফরে ভারতে নতুন দুইটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার জন্য চীনের ছয়শ আশি কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা ও চুক্তি হতে পারে। এছাড়া, শি’র তিনদিনের এ সফরে বিনিয়োগের বিষয়ে আরো বেশ কিছু চুক্তি হতে পারে।
মোদি তার ছয় হাজার পাঁচশ কোটি মার্কিন ডলারের বার্ষিক বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চীনের বিনিয়োগ সাহায্য পেতে আগ্রহী। ভারতের আইটি সার্ভিস ও ওষুধের বাজারেও চীনের বিনিয়োগ চান মোদি।
এই দুই নেতা বেসামরিক পারমাণবিক প্রকল্পে এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন ভারতের কর্মকর্তারা। দুই দেশে ভ্রমণ ভিসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
দুই নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে ওঠার ব্যাপারেও আশাবদী মোদি।
আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার ও নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের বিষয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক বিদ্যমান। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েও তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে।