কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহে কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় পুলিশ (সিবিআই) শঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দু’সপ্তাহ না পেরোতেই মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করলেন তিনি।
বুধবার পুলিশ ও পরিবারের লোকজন একথা জানিয়েছেন। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় এই প্রথম একজন সারদা-কান্ডের বলি হল।
পুলিশ জানায়, কোটি টাকার ওই অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সম্প্রতি পুলিশ শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এর পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েকদিনের জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সারদার প্রধান সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে শঙ্কর গোপনে অর্থ নিয়েছিলেন বলে তদন্ত দলকে জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক দিবন দেকা। এরপর থেকেই আসামের সাবেক এই পুলিশ প্রধানকে সন্দেহভাজনের তালিকায় আনেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
শঙ্কর তদন্ত দলের কাছে জোরালোভাবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের বা( সিবিআই) জেরার মুখে পড়ার পর থেকে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন বলে সহকর্মীরা জানান।
সারদার অর্থ নিয়ে অনিয়মের ঘটনায় জড়িত হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম এসেছে। ওই রাজ্যের সাবেক পুলিশ প্রধান রাজাত মজুমদারও একই ঘটনায় এখন জেলে আছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মজুমদার তদন্ত দলকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে না এবং অনেক কিছু গোপন করছেন বলে অভিযোগ করে সিবিআই।
তবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়সহ দলটির শীর্ষ নেতাদেরকে ওই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়াতে সিবিআই’র ‘পরিকল্পনার পক্ষে প্রমাণ দিতে’ তাকে চাপ দেয়া হচ্ছিল বলে পাল্টা অভিযোগ করেন মজুমদার।
একই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের আরেক পুলিশ কর্মকর্তা দেবেন বিশ্বাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত দল।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শঙ্করের সাবেক এক সহকর্মী দাবি করেছেন, “তিনি (শঙ্কর) একজন সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন, পুলিশি জেরার অপমান সহ্য করতে পারেননি তিনি।”