আইএস’র অবস্থানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

হামলার মুখে থাকা ইরাকি সেনাদের সমর্থন দিতে হামলাকারী ইসলামিক স্টেট’র (আইএস) অবস্থানের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2014, 05:06 AM
Updated : 16 Sept 2014, 05:06 AM

রোববার ও সোমবার, পরপর দুদিন ইরাকের রাজধানী বাগদাদের দক্ষিণ-পশ্চিমে ও সিনজার পর্বতে জঙ্গিগোষ্ঠীটির অবস্থানের ওপর এই বিমান হামলা চালানো হয়।

সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইএস’র বিরুদ্ধে হামলা ব্যাপকতর করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমবারের মতো এসব হামলা চালানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বলেছে, “আমাদের নিজেদের লোকদের রক্ষা ও মানবিক উদ্দেশ্যে (আইএস) লক্ষস্থলগুলোতে হামলা, এই বিবেচনা ছাড়িয়ে প্রথমবারের মতো আরো ব্যাপক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাগদাদের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।”

বাগদাদের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই স্থানটিতে ইরাকি বাহিনী আইএস’র বিরুদ্ধে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল। কিন্তু পাল্টা আক্রমণের শিকার হয়ে বেকায়দায় পড়েছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইরাকি সেনাদের সহায়তা করতেই বিমান হামলা দুটি চালানো হয়েছে। এতে বাগদাদের দক্ষিণ-পশ্চিমে জঙ্গিদের লড়াইয়ের অবস্থান ও সিনজারের কাছে তাদের ছয়টি যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।

হামলা চালিয়ে বিমানগুলো নিরাপদে ওই এলাকাগুলো ছেড়ে আসে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে অগাস্ট থেকে ইরাকে ১৬২ দফা বিমান হামলা পরিচালনা করল যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সর্ব সাম্প্রতিক এ হামলায় প্রেসিডেন্ট ওবামার সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটেছে, আইএস যেখানেই থাকুক না কেন হামলা চালানো হবে বলে সম্প্রতি সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন তিনি।
এরআগে ইরাকে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলাগুলো ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ, ইরাকে অবস্থানরত দেশটির নাগরিক এবং ইরাকি শরণার্থী ও অবকাঠামো রক্ষার জন্য চালানো হয়েছিল।
এদিকে আইএস’র হুমকি মোকাবিলায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ইরানকে আমন্ত্রণ না জানানোকে “দুঃখজনক” অভিহিত করে এর নিন্দা করেছে ইরাক।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে ত্রিশটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আইএসবিরোধী জোটে যোগ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা আইএস (সাবেক আইএসআইএল) দেশটির উত্তরাপূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা দখল করে নিয়ে সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছিল।
পরবর্তী সময়ে জঙ্গিগোষ্ঠীটি ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল জায়গা দখল করে সেখানেও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
সম্প্রতি দেশ দুটির দখলকৃত এলাকায় একটি ইসলামি খিলাফত (খলিফা শাসিত ইসলামি রাষ্ট্র) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি।