রোববার এ কথা জানিয়েছেন ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্যালেরি হেলেতি।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, ৪-৫ সেপ্টেম্বর ওয়েলসে অনুষ্ঠিত নেটোর সম্মেলনে তিনি এর সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সমরাস্ত্র সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
নেটো কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, সদস্য না হওয়ায় ইউক্রেইনকে “মারণাস্ত্র সহায়তা” দিতে পারবে না নেটো, কিন্তু কোনো সদস্য দেশ চাইলে তা দিতে পারে।
চলতি মাসের প্রথমদিকে ইউক্রেইনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, নেটোর কয়েকটি সদস্য দেশ থেকে অস্ত্র ও সামরিক উপদেষ্টা নিতে রাজি হয়েছে কিয়েভ।
তবে এ কর্মকর্তা যে পাঁচটি দেশের নাম বলেছিলেন তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশ বিষয়টি অস্বীকার করেছিল।
ইউক্রেইনের অস্ত্র দরকার এ কথা জানিয়ে হেলেতি বলেন, “যে সব অস্ত্র আমাদের এখন প্রয়োজন তার জন্য গণমাধ্যমের অনুপস্থিতিতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমরা চুক্তি সই করেছি। এসব অস্ত্র পুতিনকে থামাতে পারবে।”
“চুক্তি করা কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্রের নাম প্রকাশ করার অধিকার আমার নেই, কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, অস্ত্রগুলো এখন আমাদের দেশের পথে রয়েছে-এটি পুরোপুরি সত্য, আমি দাপ্তরিকভাবে আপনাদের জানাচ্ছি,” বলেন তিনি।
এই মুহূর্তে ইউক্রেইনে সাড়ে তিন হাজার রুশ সেনা রয়েছেন অভিযোগ করে হেলেতি বলেছেন, আরো ২৫ হাজার রুশ সেনা যৌথ সীমান্তের ওপাশে রুশ এলাকায় জমায়েত হয়েছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের সহায়তায় পূর্ব ইউক্রেইনে রুশ সেনা ও ট্যাঙ্ক পাঠানোর পশ্চিমা দেশগুলো ও কিয়েভের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।
পাঁচমাস ধরে চলা ইউক্রেইনের গৃহযুদ্ধে এ পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
তবে বৃহত্তর একটি শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাশিয়া, ইউক্রেইন, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউরোপীয় পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী ওএসসিই’র অনুমোদনে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ব ইউক্রেইনে অস্ত্রবিরতি চলছে। মাঝে মাঝে অস্ত্রবিরতির লঙ্খণ সত্বেও এটি মোটামুটি ব্যাপকভাবেই পালিত হচ্ছে।