যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐতিহাসিক গণভোটের ৫ দিন আগে জরিপে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ এর মধ্যে ব্যবধান কমে আসায় এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ইন্টারনেটে আইসিএম পরিচালিত নতুন জরিপে স্বাধীনতার পক্ষে ৫৪ শতাংশ এবং বিপক্ষে ৪৬ শতাংশ ব্যবধান দেখা গেছে।
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা আলেক্স স্যামন্ড হ্যাঁ ভোট জয়যুক্ত হবে বলেই আস্থা প্রকাশ করেছেন।
ওদিকে, স্কটল্যান্ডের স্বাধীন হওয়ার সম্ভাবনায় ইউরোপে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও একইভাবে স্বাধীনতার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ব্রাসেলসও।
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনের ঢেউ শেষ পর্যন্ত ইউরোপের পূর্ব সীমান্তে আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাল্টিক সাগর তীরবর্তী দেশগুলোর সংখ্যালঘু রুশরা অধিকতর স্বশাসনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে মস্কোর সহযোগিতা পেতে পারে তারা।
স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার সমর্থকরা বলছে, এখন লন্ডনের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে স্কটল্যান্ডের নিজেদের স্বাধীনভাবে নেতা বেছে নেয়া এবং শাসন করার সময়। কারণ যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদরা স্কটল্যান্ডের চাহিদা এবং মতামতের মূল্য দেয় না।
ওদিকে, স্বাধীনতার বিরোধীদের মত হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের অধীনেই স্কটল্যান্ড অনেক বেশি নিরাপদ এবং সমৃদ্ধশালী। কিন্তু আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় গণভোটে স্কটিশরা শেষমেশ স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিলে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের তিন শতাব্দীর বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাবে।