পাশাপাশি থাকা সুইচ্চ এই দুটি ভবন ট্যুইন টাওয়ার নামে পরিচিত ছিল।
প্রচলিত সামরিক হামলার বাইরে প্রথমবারের মতো গোষ্ঠীগত সন্ত্রাসী হামলার ভয়াবহতার নজির সৃষ্টি করেছিল এই হামলা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল কায়েদার ওই একটি হামলায় নিহত হয়েছিল ২৭৫৩ জন বেসামরিক মানুষ। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছিল ১০০ তলারও বেশি সুউচ্চ দুটি ভবন।
বৃহস্পতিবার ভয়াবহ সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে শোকের এ দিনটি পালন করছে নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ।
ওইদিন সকালে ঘটনাস্থলে সমবেত হয়ে নিহতদের স্মরণ করবেন দেশটির রাজনীতিবিদ, নিহতদের আত্মীয়-স্বজন ও শোকগ্রস্ত সাধারণ মানুষ।
কয়েক মাস আগেও ঘটনাস্থল ট্যুইন টাওয়ারের ওই স্থানটি বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছিল নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষ।
সেই ধ্বংসস্তুপে নতুন করে নির্মাণ করা পশ্চিম গোলার্ধের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের নতুন ভবন ওয়ান ট্রেড সেন্টারের কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এছাড়া এর সঙ্গী আরো একটি ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।
এ অবস্থায় ১৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বেড়াগুলো সরিয়ে নিয়ে স্থানটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এখানে আগতরা নিহতদের সম্মানে কিছু সময় নিরবতা পালন করবেন। তারপর নিহত প্রায় তিন হাজার জনের নাম পড়ে শোনানো হবে। এই বিষয়টি এখন বার্ষিকী পালনের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনাস্থলটিতে ৯/১১ জাদুঘর এবং পাশেই শনাক্ত করা যায়নি এমন নিহতদের দেহাবশেষ রেখে দিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ চালু করার পর এবারই প্রথমবারের মতো স্মরণ অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে।
এটি নিহতদের স্বজনদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন নিউইয়র্ক নগর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটনেও একই ঘটনা স্মরণে অনুষ্ঠান হচ্ছে। ব্যাপকভাবে পরিকল্পিত ওই হামলার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনেও অপর একটি ছিনতাই করা যাত্রীবাহী বিমান নিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল।
এছাড়া ছিনতাই করা আরো একটি বিমান পেনসুভেনিয়ার শাঙ্কসভিলে মাঠের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়েছিল।