ইবোলায় বেঁচে যাওয়াদের রক্ত ব্যবহারের পরামর্শ

ইবোলা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে বেঁচে ফেরা রোগীদের রক্ত ইবোলা সংক্রমিত অন্যান্যদের চিকিৎসায় কাজে লাগানো উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ পরামর্শ দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2014, 12:50 PM
Updated : 7 Sept 2014, 03:38 PM

ইবোলা সংক্রমণের সঙ্গে লড়তে মানুষের দেহেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যারা সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের শরীরে সেই অ্যান্টিবডি আছে। ওই এন্টিবডি ইবোলা আক্রান্ত অন্য রোগীর দেহে প্রয়োগ করা গেলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যাবে। এভাবেই সুস্থ হয়ে ওঠা ইবোলা রোগীদের রক্ত এ ভাইরাস মোকাবেলায় ওষুধের মত কাজ করবে।

তবে এই রক্ত থেরাপির কার্যকারিতা কেমন তা এখনো সম্পূর্ণভাবে বোঝা যাচ্ছে না বিস্তারিত তথ্য উপাত্তের অভাবে। তবে ১৯৯৫ সালে ডেমোক্রাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে এ চিকিৎসা দিয়ে আট জনের মধ্যে সাতজনকেই সুস্থ করা সম্ভব হয়েছিল।

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সেখানে দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

ইবোলার প্রতিকার বা প্রতিরোধের কার্যকর কোনো উপায় এখন পর্যন্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। তবে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন।

নভেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে ইবোলার টিকা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

ডব্লিউএইচও’র সহকারী মহাপরিচালক ডা. ম্যারি পাউল কেনি বলেন, “ইবোলা ভাইরাসের চিকিৎসায় ‘ব্লাড থেরাপি’ ব্যবহার করার ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। আক্রান্ত দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য সামর্থ্যের পুরোটা ঢেলে দেয়া হবে।”
“রক্ত থেকে পাওয়া উপাদানগুলো ব্যবহার করা হবে এবং ইবোলায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় তা খুব কার্যকর হবে। এটি আসলেই একটি সুযোগ।”

বর্তমান পরিস্থিতিও এ চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ইতিবাচক বলে মনে করেন কেনি। বলেন, “এখন অনেক মানুষ আছে যারা ইবোলায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছে বা উঠছে। তারাই এখন আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় রক্ত দিতে পারবে।”