আইএসের স্থাপনায় সিরিয়ার বিমান হামলা, নিহত ১৭

সিরিয়ার রাক্কা শহরে আইএস জঙ্গিদের একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও রুটি কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে আসাদ বাহিনী।

>>রয়টার্স
Published : 6 Sept 2014, 03:08 PM
Updated : 6 Sept 2014, 05:06 PM

শনিবার ওই হামলায় আটজন বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ১৭ নিহত হয়েছে বলে জানায় মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবসারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।

উত্তরাঞ্চলীয় রাক্কা প্রদেশে প্রায় এক বছর ধরে ‘খেলাফত’ ধাঁচের রাষ্ট্র গঠনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আইএস, যারা আগে ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইএসআইএল) নামে পরিচিত ছিল।

অগাস্টের শুরুর দিকে রাক্কায় প্রেসিডেন্ট আসাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সামরিক বিমানবন্দরটির দখল নিয়ে ওই অঞ্চলে নিজেদের দখল চূড়ান্ত করে আইএস। এসময় বিপুল সংখ্যক আসাদ সমর্থক সেনাকে হত্যা করা হয় বলে গণমাধ্যমে খবর আসে।

আসাদ বিরোধী অন্যান্য বিদ্রোহীদের পরাস্ত করে রাক্কায় গত এক বছর ধরে শক্ত অবস্থান তৈরি করে আইএস। সরকারি কর্মচারিদের বেতন, জনগণের জন্য ভোগ্যপণ্য সরবরাহ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এমন কি বিচারালয়ও পরিচালনা শুরু করেছে আইএস।

স্থানীয় মানবাধিকারকর্মীদের বরাত দিয়ে সিরিয়ান অবজারভেটরির প্রধান রামি আব্দুলরহমান বলেন, শনিবার সরকারি বাহিনীর বিমান রাক্কায় আইএস পরিচালিত একটি রুটি কারখানায় (বেকারি) বোমা হামলা চালায়। এছাড়া আইএস- এর আদালতের হিসেবে ব্যবহৃত একটি ভবন ও জঙ্গিদের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও এদিন হামলা হয়।

ইরাকের মসুল রাজ্য ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস। দখলকৃত এলাকায় ভিন্ন মতাবলম্বীদের গণহারে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

আইএসকে প্রতিহত করার লড়াইয়ে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোকে সহযোগী হিসেবে চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শুক্রবার ন্যাটোর সম্মেলনে অংশ নিয়ে এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে আইএস এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

সিরিয়ায় আসাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা দলগুলোকে সমর্থন সহায়তা দিয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে বিদ্রোহীদেরই একটি পক্ষ, আইএস’র বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ তার দেশে জঙ্গি বিরোধী তৎপরতায় পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করার ইচ্ছা জানিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে যৌথভাবে জঙ্গি বিরোধী তৎপরতায় অংশ নেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।

আসাদকে মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তারা।