বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ঘটছে আত্মহত্যা!

বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। আঁতকে ওঠার মতো এই খবরটি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2014, 04:09 PM
Updated : 4 Sept 2014, 04:09 PM

সংস্থাটির প্রতিবেদনে একে ‘বড় ধরনের গণস্বাস্থ্য সমস্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২০ সালের মধ্যে আত্মহত্যার হার ১০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায় ডব্লিউএইচও। যদিও মাত্র ২৮টি দেশে জাতীয়ভাবে আত্মহননের প্রবণতা প্রতিরোধের নীতিমালা রয়েছে।

আত্মহননের প্রবণতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যারা কাজ করছেন তারা মনে করেন, এ ব্যাপারে স্কুলগুলোতে আরো বেশি শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত ১০ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাপী গবেষণা করেছে। তাদের গবেষণায় যে তথ্যগুলো বেরিয়ে এসেছে তা হচ্ছে:

• প্রতি বছর প্রায় আট লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে

• বিশ্বব্যাপী তরুণদের (১৫ থেকে ২৯ বছর) মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ এটি

• ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি

• আত্মহত্যা করা এসব মানুষের এক তৃতীয়াংশের বাস নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশে

• ধনী দেশগুলোতে নারীর তুলনায় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তিনগুণ বেশি।

এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান বলেন, “এ প্রতিবেদনই বলে দিচ্ছে বড় ধরনের এই গণস্বাস্থ্য সমস্যার বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।”

আগ্নেয়াস্ত্র ও বিষাক্ত রাসায়নিকের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। সেই সঙ্গে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নও কার্যকর হবে বলে পরামর্শ দেয়া হয়।

আত্মহত্যার প্রবণতা মানসিকভাবে অসুস্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত। আত্মহত্যার আগে মানুষ অন্যদের কাছে সাহায্য চাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং এক সময় আত্মহত্যার পথে ধাবিত হয়।

যে সব মানুষ এর আগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে তাদের আরো বেশি সমর্থন দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।

ডব্লিউএইচও এর ‘মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড সাবসট্যান্স অ্যাবিউজ’ বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আলেহান্দ্রে ফ্লিচম্যান বলেন, “আত্মহত্যা প্রতিরোধে কোন দেশের অবস্থান বর্তমানে কোথায় সেটা কোনো বিষয় না। শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।”