ইবোলা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষের চলাফেরার ওপর বাধানিষেধের কারণে বিভিন্ন ফার্মগুলোতে শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেয়ায় ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
তাছাড়া, ইবোলা সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত ক্রসিংক বন্ধ করে দেয়ায় এবং সমুদ্রপথে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়াতেও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে খাদ্য সরবরাহ কমে যাচ্ছে। ফলে দেখা দিচ্ছে খাদ্য স্বল্পতা।
ইবোলা সংক্রমণ ঠেকাতে লোকজনের চলাফেরার ওপর কড়াকড়ি এবং বিভিন্ন এলাকাকে ইবোলা সংক্রমণের ভিত্তিতে আলাদা জোন করে রাখার কারণেও খাদ্য সঙ্কট তীব্র হচ্ছে। বাড়ছে খাবারের দামও।
এফএও জানিয়েছে, আগামী কয়েক মাসে খাদ্য সঙ্কট আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে। বিশেষ করে পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশ লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন ও গিনি সবেচেয়ে বেশি সঙ্কটে পড়বে।
মার্চে গিনির দক্ষিণাঞ্চলের একটি দূর্গম এলাকায় প্রথম ইবোলা ভাইরাস সনাক্ত হয়। মানব দেহ থেকে নির্গত তরল বর্জ্য যেমন: ঘাম, থুথুর মাধ্যমে এ ভাইরাস একজনের থেকে অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে ।
লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন ও গিনিতে ইবোলা ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে এবং এই তিন দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫৫০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
এফএও এর ডাকার অঞ্চলের প্রধান ভিনসেন্ট মার্টিন এক বিবৃতিতে বলেন, “ইবোলার প্রাদুর্ভাবের আগেও বাসিন্দারা তাদের আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি খাবারের পেছনে ব্যয় করত। কিন্তু এখন যেহারে খাবারের দাম বাড়ছে তাতে খাবার কেনা পুরোপুরি তাদের আওতার বাইরে চলে যাবে”।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং এফএও মিলে ইবোলায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ লাখ মানুষের জন্য তিন মাসব্যাপী জরুরি ভিত্তিতে ৬৫ হাজার টন খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।