চীনের পার্লামেন্ট দ্য ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) স্ট্যান্ডিং কমিটি হংকং এ ২০১৭ সালের নেতা নির্বাচনে মাত্র ২ থেকে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার একটি কর্মকাঠামো অনুমোদন করেছে। ‘বড় পরিসরের প্রতিনিধি পরিষদ’ই এ মনোনয়ন দিতে পারবে।
এর ফলে বেইজিংপন্থিরাই হংকং এর নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের এধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি শুরুর অঙ্গীকার করেছে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের সংগঠন ‘অকুপাই সেন্ট্রাল মুভমেন্ট’।
আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ের পরবর্তী নেতা বা প্রধান নির্বাহী নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে ২০১৭ সালে। সরাসরি ভোটে নেতা নির্বাচন হংকং এ এটিই হবে প্রথম।
চীন হংকং এর এ নির্বাচনকে ঐতিহাসিক অগ্রগতি বলে মন্তব্য করলেও বলেছে, হংকং এর সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থের বিষয়টি ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এদিক থেকে এনপিসি নির্বাচনের ব্যাপারে সঠিক এবং বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু হংকং এ একটি সত্যিকারের অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসা গণতন্ত্রপন্থি কর্মীরা এরই মধ্যে চীনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
সাবেক ব্রিটিশ কলোনী হংকংকে ১৯৯৭ সালে চীনের অধীনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল ‘এক দেশ, দুই নীতি’ অনুসারে। এরপর থেকিই হংকং এর রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে চীনা মূল ভূখন্ডের সঙ্গে হংকং এর গণতন্ত্রপন্থিদের সংঘাত চলে আসছে।