ফরাসি সাহিত্যিক পিয়েরে বোলের উপন্যাস অবলম্বেনে নির্মিত এই ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে থাইল্যাণ্ডের কোনো এক বন্দিশালার ব্রিটিশ বন্দিদের নিয়ে, যাদের মাধ্যমে কাওয়াই নদীর ওপর রেলসেতু নির্মাণ করাচ্ছিল জাপানি সৈন্যরা।
পরিচালক ডেভিড লিন ১৯৫৭ সালে এই ছবির পুরো শ্যুটিং করেন শ্রীলঙ্কায়। ছবিতে দেখানো ‘কাওয়াই’ আসলে শ্রীলঙ্কার চতুর্থ দীর্ঘতম নদী ‘কেলানি’।
জাপানি সৈন্য আর অস্ত্রের চালান ঠেকাতে ছবির শেষ দৃশ্যে রেপ্লিকা সেতুটি ধ্বংস করে দেয়া হয়, যা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত দৃশ্যগুলোর একটি। মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি বিপুলভাবে আলোচিত হয় এবং সাতটি শাখায় অস্কার জিতে নেয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দুই বছরের মধ্যে ওই স্থানে চলচ্চিত্রের অনুকরণে একটি সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ। এই সেতু পর্যটক আকর্ষণে ভূমিকা রাখবে বলে দেশটির সরকার মনে করছে।
খরস্রোতা কেলানি নদীর ওই অংশটি ওয়াটার স্পোর্টসের জন্য এমনিতেই একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকাংশে এই পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের ৮ কোটি ২৩০ লাখ ডলারের জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এই নদীতে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনা করলে পর্যটনখাতের ক্ষতির আশঙ্কায় স্থানীয়রা এর বিরোধিতা করে।
মূলত তাদের আশ্বস্ত করতেই চলচ্চিত্রের সেই সেতুটি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাওয়াই নদীর ওপর সত্যিকারের সেতুটি রয়েছে থাইল্যান্ডে। চলচ্চিত্রের কল্যাণে সেই সেতুটিও একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।