নৃশংসতার শিকার আলী আল সাঈদ কয়েকদিন আগে লেবননের সীমান্তবর্তী আরসাল শহরে আইএস জঙ্গিদের হাতে জিম্মি হওয়া ১৯ লেবানিজ সেনার একজন বলে রয়টার্স দাবি করে। তিনি লেবানন সেনাবাহিনীর একজন সুন্নি মতাবলম্বী যোদ্ধা।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছাড়া হয়। সাঈদকে হত্যার ভিডিও নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি লেবাননের সেনাবাহিনী। তবে আইএস জঙ্গিরা পরে রয়টার্সের কাছে ওই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাঈদকে পিছমোড়া করে হাত বেঁধে এবং চোখে কাপড় বেঁধে লাথি মারতে মারতে একটি নোংরা এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে একজন জঙ্গি তাকে হত্যার নির্দেশ দেয়ার পর পরই অপর জন তার শিরশ্ছেদ করে।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে সংবাদ সংগ্রহে আসা মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফলিকে শিরশ্ছেদ করে এর ভিডিও প্রকাশ করে আইএস। এ ঘটনার পর ইরাক ও সিরিয়ার বড় অংশের দখল নিয়ে ‘খেলাফত’ ঘোষণা করা কট্টরপন্থি এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় পশ্চিমা বিশ্ব।
শিরশ্ছেদের ভিডিওটি ছাড়ার কয়েকঘণ্টা পর আরেকটি ভিডিও দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে দেখা যায়, নয়জন বন্দি তাদের প্রাণ ভিক্ষা চাচ্ছেন। তারা লেবাননে বন্দি ইসলামপন্থি নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্বজনদেরকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান। অন্যথায় তাদেরও আল সাঈদের পরিণতি হবে বলে জানান এই নয়জন বন্দি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে লেবালনের সীমান্ত শহর আরসাল থেকে সিরীয় বিদ্রোহীদের অন্যতম কমান্ডার ইমাদ গোমাকে গ্রেপ্তার করে লেবানন। তার মুক্তির দাবিতে তখন আরসালে লেবানন সেনাদের সঙ্গে কয়েকদিন ব্যাপী লড়াই করে আল নুসরা ফ্রন্ট, ইসলামিক স্টেটসহ (আইএস) সিরিয়ার আরো কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠন।
গোমা এক সময় আল নুসরার কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আইএস যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দিলেও নুসরা ফ্রন্টের যোদ্ধাদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যা ছিল।
লড়াইয়ের এক পর্যায়ে লেবাননের কাছ থেকে পাঁচদিনের জন্য আরসাল শহরের দখল নেয় সিরীয় বিদ্রোহীরা। পরে লিবানন বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে আরসাল ছেড়ে দিয়ে আসলেও সেখান থেকে ১৯ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে সুন্নি সশস্ত্র দলগুলো।