শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিনি বিবিসিকে বলেন, “জীবন হুমকির মুখে পড়ায় সকালে আমি দেশ ছেড়েছি। হত্যার ষড়যন্ত্র বন্ধ হলেই দেশে ফিরে যাব।”
সেনাসদস্যরা পুলিশ সদর দপ্তরের দখল নেয় এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে বলে কূটনীতিকরা জানান।
দেশটির দুই বছর বয়সী কোয়ালিশন সরকারে বিরোধের জের ধরে জুনে প্রধানমন্ত্রী থাবানে পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করার পরপরই অস্ত্রসজ্জিত সেনাসদস্যরা সেনাছাউনি ছেড়ে বের হয়ে আসে।
সকালে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সেনারা স্টেট হাউস ঘেরাও করে রেখেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুগত পুলিশ বাহিনীর সদর দপ্তর দখল করে নিয়েছে।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী অধিকাংশই দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী মোথেটজোয়া মেস্টিং এর অনুগত। অল বাসোথো কনভেনশন পার্টির নেতা মেস্টিং থাবানেকে সরিয়ে নতুন কোয়ালিশন সরকার গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান করার কথা অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, সেনারা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে রাজধানীতে শান্ত অবস্থায় বিরাজ করছে।
১৯৬৬ সালের পর থেকে বার বার অভ্যুত্থানের মুখে পড়ছে লিসোথো।
প্রধানমন্ত্রী থাবানে বলেন, “সেনাবাহিনী সরকারকে অকার্যকর করেছে। এটা এক ধরনের অভ্যুত্থান। প্রশাসন আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, তবে তা জনগণ কারণে নয়, সেনাবাহিনীর তৎপরতার কারণে।”
“লিসোথেতে আমাকে হত্যার আয়োজন চলছিল। তাই আজ সকালে (শনিবার) দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে এসেছি। যখনই বুঝতে পারবো জীবন আর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নেই, তখনই দেশে ফিরে যাব,” বলেন তিনি।