তবে প্রধানমন্ত্রী থমাস থাবানে নিরাপদ আছেন বলে জানিয়েছে দেশটির অধিবাসী ও কূটনীতিকরা।
শনিবার সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির দুই বছর বয়সী কোয়ালিশন সরকারে বিরোধের জের ধরে জুনে প্রধানমন্ত্রী থাবানে দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিলে রাজতান্ত্রিক এই দেশটিতে চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মাসেরু’র বাসিন্দা ও কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সেনারা স্টেট হাউস ঘেরাও করে রেখেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুগত পুলিশ বাহিনীর সদর দপ্তর দখল করে নিয়েছে।
কূটনীতিকরা জানিয়েছে, সেনাবাহিনী অধিকাংশই দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী মোথেটজোয়া মেস্টিং এর অনুগত। অল বাসোথো কনভেনশন পার্টির নেতা মেস্টিং থাবানেকে সরিয়ে নতুন কোয়ালিশন সরকার গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করার পরপরই অস্ত্রসজ্জিত সেনাসদস্যরা সেনাছাউনি ছেড়ে বের হয়ে আসে।
নাম প্রকাশে না করার শর্তে এক কূটনীতিক বলেছেন, “নিশ্চিতভাবেই প্রধানমন্ত্রী নিরাপদে আছেন।”
সেনারা পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। রাজধানীর অনেক দোকানপাট বন্ধ থাকলেও সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত আছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
লিসোথোর চারদিকে ঘিরে থাকা দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আঞ্চলিক জোট সাউদার্ন আফ্রিকান ডিভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এসএডিসি) লিসোথোর এই পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার কঠোর আহ্বান জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লিসোথো সরকারে কোনো অসাংবিধানিক পরিবর্তন সহ্য করা হবে না বলেও দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদদের সতর্ক করে দেয়া হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।