যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি ‘আশঙ্কাজনক’

ইরাক ও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ফলে যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি আগের চেয়ে একধাপ বেড়েছে বলে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2014, 07:52 AM
Updated : 30 August 2014, 07:52 AM

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে সন্ত্রাসীর হামলার সতর্কতার মাত্রা ‘সম্ভাব্য পর্যায়’ থেকে বাড়িয়ে ‘আশঙ্কাজনক পর্যায়ে’ অর্থাৎ অধিক ঝুঁকির পর্যায়ে উন্নীত করেছেন।

নতুন এই সতর্কতার অর্থ হচ্ছে- যুক্তরাজ্য হামলার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আগের তুলনায় অনেক বেশি। তবে যে কোনো মুহূর্তে হামলা হতে পারে এমন কোনো তথ্য গোয়েন্দাদের কাছে নেই।

যুক্তরাজ্যে পাঁচধাপের হামলা সতর্কতার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা এটি। যে কোনো মুহূর্তে শত্রুরা দেশটিতে হামলা চালাতে পারে এমন তথ্য পাওয়ার পরই সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়ে থাকে।

যুক্তরাজ্যের পাঁচ শতাধিক নাগরিক ইরাক ও সিরিয়ার রণাঙ্গণে যু্দ্ধ করতে গেছে বলে আগেই জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।

কিছুদিন আগে আইএস এক মার্কিন সাংবাদিককে হত্যা করে এর ভিডিও প্রকাশ করার পর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিবাদ নিয়ে আরো অস্বস্তিতে পড়ে যুক্তরাজ্য।

কারণ আইএস এর যে যোদ্ধা জেমস ফলি নামের ওই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা করেছিলেন তিনি ব্রিটিশ উচ্চারণে কথা বলছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে চেহারা ঢেকেরাখা অস্ত্রধারী ওই হত্যাকারী ব্রিটেনেরই নাগরিক।

ক্যামেরন বলেন, “ইরাক ও সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য নজিরবিহীন হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।”

শুক্রবার থেকে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে বলে জানান সন্ত্রাসবাদবিরোধী সংস্থার কর্মকর্তা মার্ক রওলি।

ব্রিটেনের যেসব নাগরিক ইরাক ও সিরিয়ায় ভ্রমণে যাচ্ছেন এবং আবার দেশে ফিরে আসছেন তাদেরকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন ক্যামেরন।

অবশ্য সতর্কতা ঝুঁকি পরিবর্তিত হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি ব্রিটেনের সরকারি দপ্তরগুলো। তবে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মানুষ এখন থেকে ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে পাবে বলে জানিয়েছেন ক্যামেরন।

২০০৬ সালের ‘সন্ত্রাসী হুমকির মাত্রা’র বিষয়টি প্রথম জনসম্মুখে আসে। ওই বছর অগাস্টে একটি যাত্রীবাহী বিমান উড়িয়ে দেয়া হবে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি দুই ধাপ বেড়ে ক্রিটিক্যাল বা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঘোষণা করা হয়।

পরের বছর জুনে গ্লাসগো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আকস্মিক এক হামলার পরও হামলা সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে জারি করা হয়।

২০১১ সালে হামলার ঝুঁকি সতর্কতা কমিয়ে সম্ভাব্য পর্যায়ে বলে ঘোষণা করা হয়।