মৃত্যুর নাটক সাজিয়ে গোপনে নতুন সংসার!

দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে ‘মারা যাওয়ার’ নাটক সাজিয়ে গোপনে পছন্দের নারীর সঙ্গে নতুন সংসার পেতেছেন ভারতের এক অধিকারকর্মী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2014, 03:34 PM
Updated : 29 August 2014, 03:45 PM

মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে হত্যা করে নিজের লাশ বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন চন্দ্র মোহন শর্মা।

এনডিটিভি’র খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের ব্যাঙ্গালুরু শহর থেকে চন্দ্র মোহনকে খুনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৪ মাস আগে ‘মৃত্যুর নাটক’ সফল করার পর উত্তর প্রদেশের নদীয়া থেকে প্রেমিকাসহ ব্যাঙ্গালুরুতে পাড়ি জমান তিনি।

শর্মা তথ্য অধিকার নিয়ে কাজ করছিলেন। দিল্লির আলোচিত রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির কর্মী হিসেবেও তার পরিচিতি আছে।

নদীয়ার পুলিশ জানায়, গত ১ মে শর্মা মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে খুন করে লাশ একটি গাড়ির চাকার সঙ্গে বেঁধে দেন। গাড়িতে বাঁধা লাশটি যে তার, মানুষকে তা বোঝাতে নিজের মানিব্যাগসহ আনুষাঙ্গিক কিছু জিনিস লাশের সঙ্গে রেখে পরে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেন শর্মা।
বৃহস্পতিবার তাকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির করে ঘটনার বর্ণনা দেন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা পিন্ডার সিং।

তিনি বলেন, শর্মা নদীয়া থেকে ব্যাঙ্গালুরু শহরে গিয়ে তার পছন্দের নারীর সঙ্গে বাস করতে থাকেন।

শর্মা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তার আগের স্ত্রী সবিতা ছিলেন একজন সমাজকর্মী। বেশ কিছুদিন ধরে সবিতার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। আর সে কারণেই এমন একটি ঘটনা ঘটনার পরিকল্পনা করেন তিনি।

পুলিশের দাবি, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটাতে সবিতার ভাইয়েরও সহযোগিতা নিয়েছিলেন শর্মা। কাজটি সম্পন্ন হলে জীবন বীমার অর্থ ও চাকরি জুটবে বলে শ্যালককে (সাবিতার ভাই) প্রলোভন দেখান তিনি।

প্রায় চার মাসে আগে দগ্ধ গাড়িটির সঙ্গে থাকা লাশটি শর্মারই বলে তখন চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। তবে কিছুদিন ধরে শর্মা জীবিত আছেন বলে কানাঘুষা শুরু হওয়ার পর সন্দেহ দেখা দেয়।

শর্মার মৃত্যুর খবর প্রচার হওয়ার একমাস পর প্রতিবেশী এক নারীও উধাও হয়ে যান, যার সঙ্গে শর্মার সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ করতেন তার স্ত্রী সবিতা। ওই প্রতিবেশীর অনুপস্থিতি সবিতার মনে সন্দেহ জাগিয়ে তোলে।

এ সন্দেহের বিষয়টি পুলিশকে জানান সবিতা। পরে পুলিশ গ্রাম থেকে হারিয়ে যাওয়া ওই নারীর মোবাইল ফোনে আড়িপেতে দুইজনকে একসঙ্গে খুঁজে পায়।