ইতোমধ্যেই ইরাকে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আচিরেই সিরিয়ায় জঙ্গি সংগঠনটির শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান শুরু করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
সিরিয়ায় হামলা শুরুর আগে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য সেখানে গোয়েন্দা বিমান পাঠানো হচ্ছে বলে ওয়াশিংটনে বিবিসি’র প্রতিনিধি জানিয়েছেন। ড্রোন ও ইউ২ গোয়েন্দা বিমান দিয়ে মাধ্যমে সেখানে নজরদারি চালানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মঙ্গলবার ওবামার ঘোষণায় ড্রোন কিংবা ইউ২ এর কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
ওদিকে, জঙ্গিদের দমনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক বলে সোমবার জানিয়েছেন সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রশাসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলিকে হত্যার ভিডিও প্রকাশ করেছে আইএস।
সিরিয়ায় যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ২০১২ সালে জঙ্গিদের হাতে অপহৃত হয়েছিলেন তিনি। আইএস জঙ্গিরা তাদের হাতে আটক আরো কয়েকজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে।
তবে ওই ভিডিও প্রকাশের পর থেকেই আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।