ইউক্রেইনের পার্লামেন্ট বিলুপ্ত

ইউক্রেইনের পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো।

নিউজ ডেস্ক>>বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2014, 06:52 AM
Updated : 26 August 2014, 06:52 AM

আগামী ২৬ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সোমবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে জানিয়েছেন তিনি।

পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াই আরো শক্তিশালী করতে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন পোরোশেঙ্কো।

তিনি বলেছেন, বিলুপ্ত পার্লামেন্টের অনেক সদস্যই ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সমর্থক এবং সে কারণে ইউক্রেইনের বেশিরভাগ নাগরিক নতুন একটি পার্লামেন্ট চায়।

পুরোপুরি ইউক্রেইনের সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করেছেন বলে দাবি করেন পোরোশেঙ্কো।

সংবিধান অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন গঠন করা না গেলে নতুন নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।

২৪ জুলাই আগের ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন ভেঙে গিয়েছিল।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ চলতি পার্লামেন্টের সদস্যদের মধ্যে ইয়ানুকোভিচের সমর্থক রয়ে গেছেন। এদের পরিষ্কার করার জন্য নির্বাচনই সেরা উপায়।”

তবে নতুন নির্বাচন পোরোশেঙ্কোর জন্য বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন বিবিসির কিয়েভ প্রতিনিধি।

অক্টোবরের ভোটের আগে পোরোশেঙ্কো পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধ শেষ করতে না পারলে ভোটারদের প্রেসিডেন্টের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার আশঙ্কা আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া নতুন সংস্কার কর্মসূচী চালু করতে সরকারের অক্ষমতা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতায় ইউক্রেইন জুড়ে পোরোশেঙ্কো সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিবিসি প্রতিনিধি।

ওদিকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সোমবার সকালে দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে ইউক্রেইনে প্রবেশ করা বিদ্রোহীদের সাঁজোয়া বহরের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে।

রাশিয়া থেকে ১০টি ট্যাঙ্ক ও দুটি সাঁজোয়া যান প্রবেশ করে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর মারিয়ুপলের দিকে যাওয়ার সময় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে বলে বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এ সময় ইউক্রেইনীয় সেনারা দুটি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে এলাকাটি অবরোধ করে রেখেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

পূর্ব ইউক্রেইনের দোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর লড়াইয়ে কয়েক মাসে দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

পূর্ব ইউক্রেইনের ওই দুটি এলাকা ক্রিমিয়ার দেখানো পথ অনুসরণ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে। স্বাধীনতা ঘোষণার পর এক গণভোট আয়োজন করে ফলাফল অনুযায়ী ক্রিমিয়া রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়।