গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ২ জন নিহত

গাজায় ফের ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরো দুজন নিহত ও ভূখণ্ডটির সবচেয়ে উঁচু অ্যাপার্টমেন্ট ও অফিস ভবনগুলোর মধ্যে আরেকটি প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 26 August 2014, 04:51 AM
Updated : 26 August 2014, 04:51 AM

মঙ্গলবার ভোররাতে চালানো এ হামলায় আরো ২০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ১৩তলা ওই ভবনটিতে ৭০টি পরিবার বসবাস করতো এবং এতে কয়েকটি অফিস ও একটি বিপণীবিতানও ছিল বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির অক্ষত অংশটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে আশঙ্কায় আশপাশের কয়েকশ বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে উড়িয়ে দেয়ার আগে ভবনটি ছেড়ে দেয়ার জন্য বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেয়ায় হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলক কম হয়েছে।

মূল আঘাতের আগে ইসরায়েলি ড্রোন বিমান থেকে দুটি বিস্ফোরকহীন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার চূড়ান্ত সতর্কতা জানানো হয়।

এর আগে সোমবার সারাদিন ধরে হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলি ভূমি লক্ষ করে ১৩০টি রকেট ও মর্টার বোমা নিক্ষেপ করে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে এক ইসরায়েলি বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে রকেট হামলা চালানোর দায়িত্ব স্বীকার করেছে হামাস। এসব রকেটের অন্ততপক্ষে একটিকে আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ধ্বংস করে ইসরায়েল।

মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নয়জন নিহত হয়েছেন।

সোমবার রাতে লেবানন সীমান্তের ওপার থেকেও ইসরায়েলে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। “হামলার উৎসস্থল লক্ষ করে” পাল্টা ভারী গোলাবর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

এতে কোনো পক্ষ থেকেই কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গাজায় মঙ্গলবার ভোরারাতে চালানো হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

ইসরায়েলে রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার অজুহাতে ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা অভিযানে এ পর্যন্ত ২,১২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এই নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক মানুষ, যাদের মধ্যে ৪৯০ জন শিশুও রয়েছে।

অপরদিকে হামাসের পাল্টা হামলায় ৬৪ ইসরায়েলি সেনা ও চারজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

সাত সপ্তাহ ধরে চলা এই লড়াই থামাতে অস্ত্রবিরতিতে দুপক্ষকে রাজি করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীরা। সহিংসতা বৃদ্ধি সত্বেও নতুন একটি অস্ত্রবিরতির দিকে দুপক্ষ এগিয়ে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।