ইয়েমেনে বিক্ষোভ ঠেকাতে ক্ষমতা ছাড়ার প্রস্তাব

জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইয়েমেনে সরকার।

>>রয়টার্স
Published : 23 August 2014, 04:08 PM
Updated : 23 August 2014, 04:10 PM

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভের পর শুক্রবার রাজধানী সানার রাজপথে অবস্থান নেয় দেশটির শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত হাওছি বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভ বন্ধ করার শর্তে আগামী এক মাসের মধ্যে আলোচনার করে নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব দেয় সরকার।

শনিবার সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ওই প্রস্তাবনায় জ্বালানি খাতের ভর্তুকি নিয়ে আলোচনা করতে একটি কমিটি গঠনের ইচ্ছার কথাও জানায় সরকার।

২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’ আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ বিদায় নেয়ার পর ইয়েমেনের ক্ষমতায় আসেন প্রেসিডেন্ট আব্দু রব্বু মনসুর হাদি।

শিয়া, সুন্নি ও ধর্মীয় চরমপন্থিদের দ্বন্দ্বের কারণে দ্বিধাবিভক্ত দেশটির স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে মনসুর হাদিকে।

জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের প্রতিবাদে এবং ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ দাবিতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে হাওছিরা।

শুক্রবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী সানার দিকে চলে আসে। তারা দেশটির স্বরাষ্ট্র, টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কাছে তাবু খাটিয়ে অবস্থান নিলে বিক্ষোভে সাড়া দেয় সরকার।

হাওছিরা সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও তাদের দাবিগুলোর রাজনৈতিক যৌক্তিকতা থাকায় বিক্ষোভ থেকে গণআন্দোলনে শুরুর আশঙ্কায় সরকার সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

তবে ওই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট হয়ে শিয়া বিক্ষোভকারীরা রাজপথ ছেড়ে যাবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

গত জুলাইয়ে সরকার জ্বালানি খাত থেকে ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে ইয়েমেনে রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়ে যায়। প্রতি বছর জ্বালানি খাতের ভর্তুকিতে তিন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে সরকার।

এর আগে ২০০৫ সালেও সরকার জ্বালানি থেকে ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে ২০ জন নিহত ও দুই শতাধিক আহত হয়।