গাজায় বিমান হামলায় আরো ৫ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 23 August 2014, 01:40 PM
Updated : 23 August 2014, 02:12 PM

শনিবার গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বাড়িতে গোলা নিক্ষেপ করা হলে পাঁচজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয় বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানায়।  

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, এইদিন তারা গাজায় ২০টি লক্ষ্যবস্তু ও হামাসের রকেট উৎক্ষেপন কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।  

সপ্তাহকালের যুদ্ধবিরতি শেষে গত মঙ্গলবারের পর থেকে হামাস পাঁচশরও বেশি রকেট ছুড়েছে বলে দাবি করে সেনারা। 

শুক্রবার হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলে চার বছরের এক শিশু নিহত হয়। গত ৮ জুলাই হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি শিশু নিহত হল।

এই ঘটনার জন্য হামাসকে “চড়া মূল্য দিতে হবে বলে” হুঁশিয়ার করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এছাড়া গাজায় আবারো স্থল অভিযান শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

গাজায় অভিযান শুরুর এ পর্যন্ত দুই হাজার ৭৬ জন ফিলিস্তিন নিহত হয়েছেন বলে হাসপাতালকর্মীরা জানিয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশেই বেসামরিক নাগরিক।

প্রায় ১৮ লাখ লোকের বসতি গাজায় সেনাবাহিনীর স্থল অভিযান শুরুর পরই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে গাজায় হামলা জোরদারের ঘোষণা দেন ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল মুত্তি আলমোজ।

হামাসের অস্ত্রাগারের আশপাশে অবস্থানকারী গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

“আমরা আবারো গাজায় হামলা জোরদার করবো। সেখানে পুনরায় স্থল অভিযান শুরুরও সম্ভাবনা রয়েছে,” বলেন আলমোজ। 

একমাস ধরে অভিযান চালানোর পর দুই সপ্তাহ আগে গাজা থেকে স্থল বাহিনীকে সরিয়ে নেয় ইসরায়েল। তবে শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নতুন করে আরো ১০ হাজার রিজার্ভ সৈন্য তলব করেছেন।

গাজায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি সেনা অভিযানে চার লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহারা হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়। এসময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজার চারশ’র বেশি শিশু নিহত হয়।

ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চূক্তি করতে মিশরের রাজধানী কায়রোতে কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে। কায়রোর মধ্যেস্ততায় দুই দেশের প্রতিনিধিরা পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে গেলেও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি তারা।