রয়টার্সের এক সংবাদদাতা বলেছেন, ২৬০ টি গাড়ির ত্রাণবহরের মধ্যে প্রায় ৭০ টি সাদা ট্রাক এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে অপেক্ষমান ছিল। শুক্রবার ট্রাকগুলো সীমান্ত পেরিয়ে রুশপন্থি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত লুহান্সকের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ওই বহরের সঙ্গে রয়েছে কিছুসংখ্যক বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা।
ইউক্রেইনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থাকে বলেন, রাশিয়ার ওই ত্রাণবহরে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) তত্ত্বাবধান নেই। অথচ ত্রাণবহর ইউক্রেইনে প্রবেশের আগে কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে এ শর্তের ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছিল।
ইউক্রেইনের যুদ্ধক্ষেত্রে আটকে পড়া বেসামরিক নাগরিকদের জন্য এ ত্রাণ পাঠাচ্ছে রাশিয়া। তবে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি বলেছে এ ত্রাণবহরের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
রাশিয়া ত্রাণ সরবরাহের নামে পূর্ব ইউক্রেইনে আগ্রাসন চালাতে পারে বলে কিয়েভের আশঙ্কা। ইউক্রেইনে রাশিয়া সরাসরি সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার অজুহাত হিসাবে এ ত্রাণবহরকে কাজে লাগাতে পারে বলে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা বিশ্বও।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইউক্রেইনকে এ ত্রাণবহরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।