‘যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় হুমকি আইএস’

সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে বলে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2014, 06:21 AM
Updated : 22 August 2014, 06:21 AM

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

হেগেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরাকে আইএস’র অগ্রযাত্রা রুখতে সহায়তা করলেও জঙ্গিরা আবার সংগঠিত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা যায়।

“তারা শুধু একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, এর থেকেও বেশি কিছু। তাদের আদর্শ আছে, কৌশলগতভাবে সুনিপুন ও কার্যকর সামরিক ক্ষমতা আছে, তাদের তহবিলের অবস্থাও খুব ভাল। এরআগে আমরা যা দেখেছি এগুলো সেসব ছাড়িয়ে গেছে,” বলেন তিনি।

আইএস কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের অপহৃত সাংবাদিক জেমস ফোলির শিরশ্ছেদ করার ভিডিও পোস্ট করার পর এই সতর্কতা জানালেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

ফোলির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র একটি আনুষ্ঠানিক ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে।

ফোলি ও সিরিয়ায় বন্দি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য নাগরিকদের উদ্ধারের প্রচেষ্টায় চলতি গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্র একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে বলে এরইমধ্যে জানা গেছে।

এছাড়া ফোলির মুক্তির বিনিময়ে আইএস ১৩২ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ চেয়েছিল, এমন একটি খবরও বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।

এরআগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেছেন, “আক্রমণ পরবর্তী বিপর্যয় পরিমাপ নির্ণয়ের ও তা এড়ানোর কৌশল নির্ধারণে সক্ষম আইএস, তারপরও একে পরাজিত করতে হবে।”

সিরিয়ায় গোষ্ঠীটির ঘাঁটিতে আক্রমণ করা ছাড়া একে পরাজিত করা যাবে না বলে জোরালোভাবে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, “সিরিয়ায় আইএস’র অবস্থানে হামলা না করে গোষ্ঠীটিকে পরাজিত করা যাবে কিনা আপনারা জানতে চেয়েছে। উত্তর হচ্ছে, না। সীমান্তের অস্তিত্ত্বহীন এ সময়ে উভয় পাশেই তাদের খুঁজে বের করতে হবে।”

তবে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্দেশে আইএস’র বিরুদ্ধে ইরাকে চলমান যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত বিমান হামলা অভিযানে কোনো পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেননি হেগেল বা ডেম্পসি, আর ওবামা ইরাক ও সিরিয়ায় অভিযান জোরদার করবেন এমন কোনো ইঙ্গিতও নেই।

কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস’র বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বাতিল করে দেননি বলে জানিয়েছেন বিবিসি’র ওয়াশিংটন প্রতিনিধি।