ধর্মীয় উগ্রপন্থি গোষ্ঠী ইয়েমেনের আল কায়েদা শাখা ও সৌদি হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে দেশটিতে যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শে বিশ্বাসীদেরকেও একই আইনে অন্তর্ভূক্ত করেছেন বাদশাহ আব্দুল্লাহ।
ওই আইনে দোষীদেরকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। যেসব সৌদি নাগরিক বিদেশের মাটিতে যুদ্ধ করতে যাবেন, তারা এই আইনে অভিযুক্ত হবেন।
বিদেশের মাটিতে যুদ্ধ বলতে সিরিয়া ও অন্যান্য এলাকায় ইসলামি চরমপন্থিদের দিকে ইঙ্গিত করা হচ্ছে।
আইনের বিশেষত্ব হচ্ছে, সৌদিতে অবস্থানকারী ‘নাস্তিক মতবাদের অনুসারী’ অথবা ইসলামি আইন-কানুন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদেরকে সন্ত্রাসবাদীদের জন্য নির্ধারিত সাজার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
উগ্রবাদের সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়ে মতামত দাতাদের মিলিয়ে ফেলার কারণে ওই আইনের কড়া সমালোচনা করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ এর (এইচআরডব্লিউ) মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের পরিচালিক জো স্টার্ক বলেন, “সৌদি রাজতন্ত্র কখনো তাদের রাষ্ট্রীয় নীতির বিরোধিতা সহ্য করেনি। তবে সাম্প্রতিক আইনটি দেশটির সব নাগরিকের যে কোনো সমালোচনামূলক মতামত ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত হওয়াকে (অপরাধ হিসেবে) অন্তর্ভুক্ত করেছে।”
আল-কায়েদার ইয়েমেন শাখাও সৌদি আরবের ওই ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।
ইন্টারনেটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ‘আল কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলার’ (একিউএপি) মুখপাত্র ইব্রাহিম আল রুবাইস মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা করায় সৌদি সরকারকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে উপহাস করেছেন।
সৌদি আরব গত ৩ ফেব্রুয়ারিতে বিদেশের মাটিতে (সিরিয়ায়) সৌদি নাগরিকদের যুদ্ধ করতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইন পাস করে। সেইসঙ্গে ৭ মার্চ সিরিয়ার একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ও ঘোষণা করে।
সৌদি বাদশা আব্দুল্লাহর নতুন ওই আইনের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ করা এক অডিও বার্তায় রুবাইস বলেন, “সৌদি সরকারের কর্মকর্তারা মূলত হোয়াইট হাউসের কর্মচারী। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে খোদা মনে করে।”