৩ জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা করেছে ইসরায়েল: হামাস

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের ৩ জন জ্যেষ্ঠ সেনা কমান্ডার নিহত হয়েছেন।

>>রয়টার্স
Published : 21 August 2014, 08:50 AM
Updated : 21 August 2014, 08:50 AM

বৃহস্পতিবারের হামলায় তারা নিহত হন।

গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস দাবি করেছে, এটা স্পষ্ট যে, ফিলিস্তিনের অংশ গাজা থেকে যারা সশস্ত্র লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ইসরায়েল তাদের লক্ষ্য করেই হামলা পরিচালনা করছে।

তবে এ সম্পর্কে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

হামাস জানিয়েছে, মোহাম্মদ আবু শাহমালা, রায়েদ আল-আত্তার এবং মোহাম্মদ বারহউম দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন নারী মুখপাত্র জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গাজায় ২০ দফা হামলা চালানো হয়েছে। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।

মঙ্গলবার দিনের শেষভাগে ইসরায়েল হামাসের শীর্ষ সেনা কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হয় ইহুদি রাষ্ট্রটির চালানো বিমান হামলা।

দেইফের স্ত্রী এবং তাদের সাতমাসের ছেলে শিশু ওই হামলায় নিহত হন বলে হামাস জানিয়েছে।

গাজা থেকে চালানো রকেট হামলা বন্ধে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের অজুহাতে ৮ জুলাই গাজায় সেনা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। প্রায় মাসকালব্যাপী অভিযান চালানোর পর তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে মিশরের মধ্যস্থতায় সাময়িক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।

কিন্তু অস্ত্রবিরতি আরো দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে চালানো আলোচনা মঙ্গলবার ভেস্তে গেলে ১০ দিনের অস্ত্রবিরতি শেষে আবারও দুইপক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা শুরু হয়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৮ জুলাই থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ২০৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ।

অপরদিকে এই হামলা-পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের পক্ষে ৬৪ সেনা ও ৩ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

অভিযান সম্পর্কে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা শত শতহ ফিলিস্তিনি জঙ্গিকে হত্যা করেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েল-হামাসের লড়াইয়ে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন।