দেশটির সাজানো পার্লামেন্ট বৃহস্পতিবার প্রেয়াথকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেছে। এই পার্লামেন্টের প্রায় সবাই সেনা ও পুলিশ থেকে আসা ব্যক্তি।
পার্লামেন্টে আসা ১৯৭ জন সদস্য সবাই তাকে প্রধানমন্ত্রী মনোনয়নে সমর্থন জানান বলে বিবিসি জানিয়েছে।
চলতি বছরের ২২ মে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন জেনারেল প্রেয়াথ।
দেশটির বিরোধীদলগুলোর সঙ্গে ইংলাকের কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক টানাপড়েন ও অস্থিতিশীলতার সুযোগ নেয় সেনাবাহিনী।
থাই সামরিক জান্তা ও সেনাপ্রধানকে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচনের লক্ষ্যেই সেনাসমর্থিত ও মনোনীত পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। পার্লামেন্টের এই অধিবেশন ছিল মাত্র ১৫ মিনিটের। আর তাতে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন একজনই।
তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের জন্য দেশটির রাজা ভুমিবল আদুলইয়াদেজের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
২২ মে অভ্যুত্থানের পর সামরিক বাহিনী ঘোষণা দিয়েছিল, ২০১৫ সালের শেষদিকে দেশটিতে নির্বাচন দেয়া হবে। কিন্তু জেনারেল প্রেয়াথের প্রধানমন্ত্রীর পদগ্রহণ অর্থাৎ ক্ষমতা কুক্ষিগত করার এই পদক্ষেপের ফলে নির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরও সেনাপ্রধানের পদ ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেয়াথ।