যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ থেকে পুলিশকে গুলি, গ্রেপ্তার ৩১

যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাজ্যে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভ মিছিল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা হওয়ার পর ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

>>রয়টার্স
Published : 19 August 2014, 02:10 PM
Updated : 19 August 2014, 02:10 PM

সোমবার রাতে ফার্গুসন শহরে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্যকরে গুলি, পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে বলে সাংবাদিকদের জানান রাজ্যের হাইওয়ে পুলিশের ক্যাপ্টেইন রন জনসন। তবে এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি পাল্টা গুলিও করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

মিসৌরি রাজ্যের সেন্ট লুইস কাউন্টির ফার্গুসন শহরে গত ৯ অগাস্ট শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক নিহত হয়। বর্ণবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে পুলিশ ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।

হত্যার প্রতিবাদে ১০দিন ধরে ফার্গুসন, নিউ ইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে।

প্রথম দিকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ চললেও মাইকেল ব্রাউন (১৮) নামে নিহত ওই যুবকের নাম প্রকাশ হওয়ার পর তা আরো সহিংস হয়ে ওঠে।
সোমবার রাতের সহিংসতা সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাইওয়ে পুলিশের ক্যাপ্টেইন রন জনসন বলেন, “একটি এলাকায় আমাদের কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের গুলির মুখে পড়েছেন। গুলি হামলার শিকার হয়েও বিক্ষোভকারীদের দিকে একটি গুলিও চালায়নি পুলিশ। দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে দুটি গুলি উদ্ধার করেছে”।
বিক্ষোভকারীদের হামলায় পুলিশের চার কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
যে শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সেখানে ২১ হাজার মানুষের বাস। হত্যার প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি চলছে দোকানপাটে ভাংচুর ও লুটপাট।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানান, সোমবার দিনের দিকে বিক্ষোভ বেশ শান্ত ছিল। রাতের দিকে পুলিশের সঙ্গে নতুন করে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা।
প্রথম দিকে পুলিশই বিক্ষোভকারীদের পথ করে দেয়ার জন্য কয়েকটি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। তবে রাতের দিকে বিক্ষোভের ভিড় থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল, পাথর, গুলি ও পরে প্রেট্রল বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসে বিক্ষোভের পাশাপাশি নিউ ইয়র্ক, ওকলোহামাসহ আরো কয়েকটি শহরে শন্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। সোমবার রাতে ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউ ইয়র্ক থেকেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও দেশটির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিসৌরির গভর্নর জয় নিক্সন ওই এলাকায় ফার্গুসন শহরে শনিবার থেকে জরুরি অবস্থান ঘোষণা দিয়েছিলেন। এছাড়া, মধ্যরাত থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে কারফিউ। আঞ্চলিক পুলিশকে সহায়তার জন্য ন্যাশনাল গার্ডও মোতয়েন করা হয়েছে।