সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফেরার সময় বিমানে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, “আমরা বিবেচনায় রেমেরো খোদার বান্দা।”
এল সালভাদরে গৃহযুদ্ধ চলাকালে সামরিক শাসনের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখতেন আর্চবিশপ রোমেরো।
খ্রিস্টানদের সমাজের সব লোকের অর্থনৈতিক ও সামজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে হবে, লিবারেশন থিওলজি নামে পরিচিত খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের এই ধারার অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন তিনি।
১৯৮০ সালের ২৪ মার্চ, সালভাদরের রাজধানী সান সালভাদরে দেয়া ধর্মীয় বক্তৃতা শেষে ৬২ বছর বয়সী রোমেরোকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ডানপন্থী সরকার থাকাকালে ঘটা এ হত্যাকাণ্ডের কোনো তদন্ত করা হয়নি।
কার্ল মার্কসের দর্শনে আস্থাশীল ছিলেন এমন উদ্বেগ থেকে বহু বছর ধরে রেমোরোকে “স্বর্গবাসী” ঘোষণা করা থেকে বিরত ছিল রোমান ক্যাথলিক চার্চ।
গরীবদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার একজন মানুষকে, গরীবদের পক্ষে কথা বলে দাবি করা চার্চ, কেন দীর্ঘদিন ধরে অবজ্ঞা করে আসছে, এটি অনেক ক্যাথলিক বিশ্বাসীর কাছে একটি ধাঁধাঁর মত ছিল।
সেই ধাঁধাঁর অবসান ঘটিয়ে রোমেরোকে “আশীর্বাদপ্রাপ্ত” হিসেবে ঘোষণা করা হল, এটি ক্যাথলিক চার্চের পক্ষ থেকে “সন্ত” ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় প্রথম ধাপ।
শিগগিরিই প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ঘোষণাটি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।
১৯৮০ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত চলা এল সালভাদরের গৃহযুদ্ধে ৭৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিলেন। তখন ডানপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে লড়া্ই করেছিল বামপন্থী কমিউনিস্ট বিদ্রোহীরা।
গৃহযুদ্ধ শুরুর দিকে ডানপন্থী সরকার পরিচালিত ‘ডেথ স্কোয়াড’ ও দেশের মানুষ বিশেষ করে গরীবদের বিরুদ্ধে এদের পরিচালিত দমনাভিযানের নিন্দা জানিয়েছিলেন আর্চবিশপ রোমেরো। রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।