বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো থেকে বহু ফ্লাইট কেনিয়া দিয়ে যাওয়া আসা করার কারণে দেশটিতে এবোলা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে বুধবার জারি করা সর্বশেষ ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনিতে প্রথম এবোলা ভাইরাস ধরা পড়ে। পরে ধীরে ধীরে সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার নাইজেরিয়াতেও এক ব্যক্তি এবোলা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পশ্চিম আফ্রিকায় এবোলা আক্রান্ত চারটি দেশে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে কেনিয়া কিংবা অন্য কোনো দেশে এ রোগে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
প্রাণঘাতী ওই রোগটি যাতে পশ্চিম আফ্রিকাতেই সীমাবদ্ধ থাকে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই অঞ্চলে এবোলার পরীক্ষামূলক প্রতিষেধক হিসেবে এক হাজার ভ্যাকসিন পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।
কেনিয়ায় ডব্লিউএইচও’র আবাসিক প্রতিনিধি কাস্টোডিয়া ম্যান্ডেলহেট বলেন, এবোলার ঝুঁকি বিবেচনায় দেশটিকে দ্বিতীয় স্তরে রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে রাজধানী নাইরোবির প্রধান বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদার করা হয়েছে। তবে পশ্চিম আফ্রিকার এবোলা আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা বিমানের অবতরণ বাতিল করা হবে না বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।