সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই হামলায় ১০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা অন্তত ২০ বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে।
ওই হামলায় সেনাবাহিনীর ৩০টি সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি করেছে বিদ্রোহীরা।
নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার পর্যবেক্ষকরা বৃহস্পতিবারই প্রথমবারের মতো রাভোবো গ্রামে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার এলাকা পরিদর্শনের সুযোগ পান।
গত ১৭ জুলাই ২৯৮ জন আরোহী নিয়ে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ-১৭ বিধ্বস্ত হওয়ার পর অভিযোগ ওঠে, ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে। আর এই ঘটনার জন্য রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দায়ী করে ইউক্রেইন সরকার।
দুই পক্ষের লড়াইয়ের কারণে নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রেলিয়ার পর্যবেক্ষকরা এতোদিন ঘটনাস্থলে যেতে পারছিলেন না। তাদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার সুযোগ দিতে বৃহস্পতিবার একদিনের জন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ রাখে সেনাবাহিনী।
ভূপাতিত বিমানের যাত্রীদের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের ১৯২ জন এবং অস্ট্রেলিয়ার ২৭ জন নাগরিক ছিলেন। দুর্ঘটনায় বিমানের আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছিলেন।
এদিকে শুক্রবারই পাশের দেশ বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ইউক্রেইনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিদ্রোহীদের বৈঠক হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
রাশিয়া ও ইউরোপীয় নিরাপত্তা সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ বা ওএসসিই’র প্রতিনিধিদের এই বৈঠকে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।