গাজার খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের ‘ইনকিউবেটরে’ রাখা এই ফিলিস্তিনি মেয়েশিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে তিনটি দিন ভালভাবেই পাড়ি দিয়েছে শিশুটি।
বিবিসি অনলাইনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ইনকিউবেটরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে ঈদ। কম্পিউটারে নির্দেশক সংকেতগুলোও তার বেঁচে থাকার প্রমাণ দিচ্ছে। সে নড়াচড়া করছে। তাকাচ্ছে চোখ মেলে।
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় বাবা-মা হারিয়ে পৃথিবীর আলোয় আসা এ শিশুটির খবর প্রচার হচ্ছে বিশ্বের সুপরিচিত গণমাধ্যমগুলোতে। বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’, মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ মাধ্যম ‘আল-জাজিরা’, যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ডেইলি মেইল’সহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে তার ছবি আর বেঁচে থাকার খবর।
মায়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে শিশুটির নাম রাখা হয় সায়মা শেখ আল-ঈদ।
গত শুক্রবার ভোরে জাতিসংঘ পরিচালিত একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের বিমান হামলার পর সকালে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এক গর্ভবতী নারীর লাশ উদ্ধার করে তার দেহে অস্ত্রোপচার চালিয়ে বের করা হয় শিশু ‘ঈদ’কে।
চিকিৎসকরা এখন দুই সপ্তাহের অপরিণত বয়সের এ শিশুটির বেঁচে থাকারই সম্ভাবনা দেখছেন।
তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া খান ইউনিসের একজন ডাক্তার বিবিসি’কে বলেন, “এ ঘটনায় আমি খুবই ক্ষুব্ধ, একই সঙ্গে ব্যথিত। ওই শিশুকে নিজের বলেই মনে করছি আমি।”
শিশু ঈদ চোখ মেললেও ইসরায়েলের চালানো নির্মমতার কারণে আরো অনেক শিশুরই হয়তো পৃথিবীর আলো দেখার সৌভাগ্য হয়নি। শিশু ঈদের নবজীবনের এ সূচনালগ্নে ফিলিস্তিনে শুরু হয়েছে মুসলমানদের ধর্মীয় ঈদ উৎসব।