এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের সুরক্ষায় ‘যা কিছু করা দরকার’ তা করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর হামাস রকেট ছুড়ছে অভিযোগ তুলে রোববার গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপরই হামাস জানায় তারা জাতিসংঘ প্রস্তাবিত বাড়তি ২৪ ঘন্টার অস্ত্রবিরতি পালনে রাজি।
গাজার স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ২টা থেকে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা) এই অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়টার্সকে জানান গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি।
কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই হামাস অস্ত্রবিরতি মেনে নিয়েও তা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করল ইসরায়েল।
সিএনএন এর সঙ্গে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে সিনহুয়া বলেছে, “এ পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের ঘোষিত অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করছে। ইসরায়েল তার জনগণকে রক্ষায় যা কিছু করা দরকার তা করবে”।
হামাস রোববার ২৪ ঘন্টার নতুন অস্ত্রবিরতিতে রাজি হওয়ার পর গাজায় লড়াই কিছুটা কমে এলেও ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই অবসানে স্থায়ী কোনো যুদ্ধবিরতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
গত ৮ জুলাই থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় অন্তত ১ হাজার ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, ইসরায়েলের ৪২ জন সেনা ও তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ইসরায়েল ‘অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ’ নামে অভিযান শুরু করে বিমান হামলার মধ্য দিয়ে। পরে গত ১৭ জুলাই গাজায় স্থল অভিযান শুরু হয়। গত মাসে ৩ ইসরা্য়েলি কিশোর অপহরণ ও হত্যা এবং পরে জেরুজালেমে অপর এক ফিলিস্তিনি কিশোর মোহাম্মেদ আবু খুদাইর অপহরণ ও হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
গাজায় সাধারণ মানুষ নিহতের পেছনে হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। হামাস নিজেদের রক্ষা করতে সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে ইসরায়েল অভিযোগ করেছে।