শনিবারের ওই দাঙ্গায় আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। ঘটনাস্থলে সান্ধ্য আইন জারি করে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধ্যায়। সাহারানপুরের কুতুবশেরে বিরোধপূর্প একটি জমিতে শিখ সম্প্রদায়ের লোকেরা নির্মাণ কাজ শুরু করলে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন বাধা দেয়।
এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে একে অপরের সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করে এবং পরস্পরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
পুলিশ রবার বুলেট ব্যবহার করে উভয়পক্ষের উত্তেজিত লোকজনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
সাহারানপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সান্ধিয়া তিওয়ারি রোববার বলেছেন, “এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেলে শান্তি কমিটির বৈঠক হবে। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে সান্ধ্য আইনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর ঘটনাস্থলে আধাসামরিক বাহিনীর ৬শ’ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
জমি নিয়ে দুসম্প্রদায়ের বিরোধ চার বছরের পুরনো। ওই এলাকায় বসবাসকারী শিখরা ওই জমিতে তাদের গুরুদুয়ারা সম্প্রসারণ করতে চাচ্ছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলের ২শ’ মিটার দূরে বসবাসকারী মুসলিমদের দাবী ১০ বছর আগে এই জমিতে একটি মসজিদ ছিল।
জমি নিয়ে বিরোধ আদালতে গড়ালে আদালত শিখদের পক্ষে রায় দেয়। মুসলিমরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আপিল করার কয়েকদিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করে নেন।
শনিবার স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য মনিন্দর বাগা বলেছেন, “আজ সকালে কোত্থেকে কয়েক হাজার উত্তেজিত লোক এসে আমাদের ঘিরে ফেলে। তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আবার পাথরও নিক্ষেপ করে।”
কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন জানিয়েছেন, তারা কয়েকজন শিখদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে শিখরা তাদের ওপর হামলা করে।