সিরিয়ায় তিন বছরের গৃহযুদ্ধে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সরকারি সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সিরিয়ার বিদ্রোহীরাও ভিন্ন মতাবলম্বিদের গণহারে হত্যা করছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
সিরিয়ার গণহত্যায় আইএসআইএল’র সংশ্লিষ্টতার দিকে ইঙ্গিত করে সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধ পর্যবেক্ষণে গঠিত জাতিসংঘের স্বাধীন কমিশনের প্রধান পাওলো পিনহেয়ারো বলেন, “যুদ্ধাপরাধের তালিকায় স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা (আইএসআইএল) অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী।”
সিরিয়া নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে দেয়া হয়েছে। শুক্রবারই প্রথমবারের মতো তা সাংবাদিকদের কাছে জানানো হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সিরিয়া ছাড়াও ইরাকে শিয়া প্রশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে সুন্নি জঙ্গিদের দল আইএসআইএল। ইতোমধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার বড় এলাকার দখল নিয়ে ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
পিনহেয়ারো বলেন, “আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা বেসরকারি সব অস্ত্রধারী গ্রুপ এবং আইএসআইএলের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।”
সিরিয়ার যুদ্ধে এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে যাদের এক তৃতীয়াংশই বেসামরিক নাগরিক। ২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির দাবিতে শুরু হওয়া গণবিক্ষোভ পরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।